বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ফেনীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফলোআপ গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সামাজিক ও আইনি বিষয়ক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলুর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ সাভার ডিজিটাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর শুভ উদ্বোধন ব্যাচমেটস্ 0305 ক্রিকেট র্টুনামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে ‘টিম অদম্য সাভার’ এস এল এ মানবাধিকার সংস্থার মানবাধিকার দিবস পালিত রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

ভাত না খেয়ে ৫৭ বছর!

প্রতিবেদকের নাম / ৫০২
নিউজ আপঃ বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২, ১:০৮ অপরাহ্ন

মাছে ভাতে বাঙালি এ প্রবাদটি আছে। বাঙালির মাছ ও ভাত প্রিয় খাবার। তবে জন্মের পরে কোনদিন ভাত খায়নি এমটি দাবি করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের এক শিক্ষক। তার দাবি জন্মের পর কোনদিন ভাতের থালা হাতে দরেননি তিনি। এমনকি কেউ বসে ভাত খেলে তার পাশেও যাননা তিনি।

তার নাম আনারুল ইসলাম (৫৭)। বাড়ি উপজেলার শ্যামপর ইউনিয়নের শরৎনগর হাজি পাড়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় শ্যামপুর ইউ সি উচ্চ বিদ্যলয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।

গত রোববার (২০ মার্চ) উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের শরৎনগর গ্রামের আনারুলের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণ করে আনারুল। পড়ালেখা শেষ করে প্রথমে একটি স্থানীয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। বর্তমানে সে গত ছয় বছর থেকে শ্যামপুর ইউ সি উচ্চ বিদ্যলয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। তবে জীবনের শেষ অধ্যয়ে এসেও কোনদিন ভাত খাননি তিনি। কোন অনুষ্ঠানে গেলেও তিনি আগে জানিয়ে দেন তিনি ভাত খাবেননা। তার জন্য রুটি তৈরি করে রাখতে হবে।

কথা হয় আনারুল ইসলামের সঙ্গে, তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালে মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে আমার জন্ম। সততার সঙ্গে লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেছি। কিন্তু জন্মের পরে কোনদিন ভাত খায়নি। ছোট বেলা থেকেই স্বজনরা ভাত সামনে দিলেও খেতে মন চাইনি। তার পর থেকে আর ভাত খাওয়া হয়নি। এখন আমার বয়স প্রায় ৫৭ বছর।তিন বেলার খাবারের পছন্দের তালিকায় রয়েছে রুটি, মাংস, আলু ভাজি, মিষ্টি, পরাটা। এখনও আমার সামনে কেউ ভাত খেলে, তাকে আমি এড়িয়ে চলে যায়।

শ্যামপুর ইউ সি উচ্চ বিদ্যলয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মামুন আলী বলেন, ‘এই স্কুলে আমি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পড়ালেখা করছি। তখন থেকেই জানি আনারুল স্যার ভাত খায়না। এখন দশম শ্রেণিতে পড়ছি।কোনদিন ভাত খেতে দেখিনি স্যারকে। সারা বছর রুটি খেয়ে থাকেন। তাই স্যারকে সবাই ‘রুটি স্যার’ বলে চিনে।’

আনারুল ইসলামের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ছোট ভাই আনারুলকে অনেক আদর-স্নেহ, ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি। লেখাপড়া শেষ করে সে এখন শিক্ষকতা করছে। তবে ছোট থেকেই ভাত খাই আনারুল। ছোট বেলায় তার সামনে ভাতের থালা দিলে রাগ করতো এবং একদিন মুখে ভাত দেওয়ায় অচেতন হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সেই থেকে আমরা তাকে আর ভাত খেতে দিনি।অন্য খাবার খাইয়ে বড় করেছি।

শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকে আনারুলকে চিনি।জন্ম থেকেই সে কোনদিন ভাত খাইনি। অন্য খাবার খেয়ে সে জীবন যাপন করছে। তবে রুটিটা তার বেশি পছন্দ। তাই তিন বেলা সে রুটি খায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ জানান, ‘যদিও আমাদের দেশের মানুষ বেশি ভাত খায়। তবে একজন মানুষ ভাত না খেয়েও অন্য খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। এটা কোন সমস্যা নয়। হয়ত ছোটতে আনারুলের পরিবারের লোকজন তাকে সেভাবে ভাত খাওয়ার জন্য চাপ দেয়নি।’


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share