বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রুয়েট কর্মকর্তার প্রাণনাশের হুমকি রাজাকারের শ্যালকের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগে ‘আকাশ” সিন্ডিকেট রাজশাহীতে জালিয়াতি করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা দিবসে নতুনধারার দিনব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বাঘায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন পাইকোর (paicoo) ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হাজারো যুবক হাজার কোটি টাকা উধাও মিরপুর ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ ফের ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের দাবি দুর্নীতির কারণে নির্মমভাবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে : মোমিন মেহেদী
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

এ কে আজাদ  রাজবাড়ী / ১৪৭
নিউজ আপঃ বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২, ২:২১ অপরাহ্ন

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার ভবনের ছা‌দের বিমের পলেস্তরা একাই খসে পরছে। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আত‌ঙ্কিত হ‌য়ে আছে,পাঠদান দীর্ঘদিন ধরে চলছে খোলা আকাশের নিচে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান না করে বাইরে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চার কক্ষ বিশিষ্ট এক তলা ভবন। যা পাঠদানের জন্য পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে গেছে বলে দাবী করছেন দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় তিনকক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটির ১৯৯৬ সালে নির্মিত হয়। এর একটি কক্ষ ব্যবহৃত হচ্ছে অফিস রুম হিসেবে। বাকি দুইটি রুম শ্রেণি কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ভবনটির অধিকাংশ বিম ও পিলারে বড় আকারের ফাটল ধরেছে। বিম, পিলার ও ছাদের সুড়কি-পলেস্তরা খসে পড়ে রড বেরিয়ে রয়েছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে ভবনটিতে।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক উত্তম কুমার গোস্বামী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই ভবনের এই জরাজীর্ণ অবস্থা। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও উপজেলা প্রকৌশলীও জানেন। তারা পরিদর্শনও করে গেছেন। হঠাৎ করেই মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০ এর দিকে এই ঘটনা ঘটে। আপাতত আমরা পাশের একটি বিদ্যালয়ে ও গাছ তলায় পাঠদান করছি। আমাদের একটি ঝুঁকিমুক্ত ভবন দরকার যেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হবে।

পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসাতে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী আছে। তাদের মাঝে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলতো ওই ভবনে। সেই ভবনের বিম ও ছাদের সুড়কি ভেঙ্গে পড়ছে ও পলেস্তরা খসে পড়ছে। ভয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চাচ্ছে না। যারা আসছে তাদেরকে আমরা বাধ্য হয়ে পাশ্ববর্তী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের শ্রেনীকক্ষে ও গাছ তলায় ক্লাস নিচ্ছি। আমরা উর্ধ্বতন কর্পতৃক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি। উক্ত ভবনে পাঠদান চালানো সম্ভব না। নইতো বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার বলেন, বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি। আপাতত বিকল্প উপায়ে পাঠদানের জন্য বলা হয়েছে। এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর