May 6, 2025, 3:58 pm
Logo
শিরোনামঃ
বাঘায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীর মানববন্ধন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রধান উপদেষ্টার ঘর উপহার জয়পুরহাটে জামায়াতের মোটরসাইকেল শোডাউন সাভারে জমজমাট ক্রিকেট ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন রাসেল একাদশ নারী সংস্কার কমিশন বিলুপ্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সাভারে শ্রমিকদের দুর্বল করা কাউকেই যেন রাষ্টীয় পদ বা জনপ্রতিনিধির জায়গা দেওয়া না হয়, আখতার শাহিনুর কবির, ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ সার্কেল নির্বাচিত হলেন ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা সাভার উপজেলা সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক সোহেল রানা, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান ফেনীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফলোআপ গণঅভ্যুত্থানে আহতদের
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

মোঃ জসীম উদ্দিন, নিজেস্বপ্রতিবেদক

প্রতিবেদকের নাম 439
নিউজ আপঃ Monday, November 26, 2018

পটিয়া-১২ আসন তৃণমূল মানুষের প্রিয় নেতা সাদাত হতে চান পটিয়ার সুখ-দু:খের নিত্যসঙ্গী একজন বড় মাপের নেতা হলে তাকে হতে হয় পরোপকারী, থাকতে হয় বিপদে-আপদে পাশে সকলের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা এবং সর্বোপরি দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে মনোয়ন প্রত্যাশী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ সাদাতের মধ্যে এসব গুণই বিদ্যমান। সদ্য কারামুক্ত সদালাপী, বিনয়ী, কর্মনিষ্ঠ সফল ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদ এলাকার তৃণমূল মানুষের কাছে ইতিমধ্যেই তাঁর কর্মকুশলতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। প্রতিপক্ষ রাজনীতিকদের দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারীতার কাজে জিম্মি এলাকাবাসী তথা দলের তৃনমূল কর্মী-সমর্থকরা ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে এমন একজন যোগ্য নেতাকেই দেখতে চান। সৈয়দ সাদাত আহমেদ এবিএন-শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই গ্রুপের অধীনে এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক, এবিএন এভিয়েশন, এবিএন ট্রাভেলস, এবিএন কার্গো, এবিএন প্রোপার্টিজ লিমিটেড, এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কফি চেইন সুগার এন স্পাইস পরিচালিত হয়। প্রতিপক্ষ রাজনীতিকদের কার্যকলাপ দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েলের বিরুদ্ধে অনৈতিক, স্বজনপ্রীতি, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী, সুযোগসন্ধানী ও হঠকারী নেতা হিসেবে পরিচিত। দলের চরম দু:সময়ে তিনি নেতাকর্র্মীদের পাশে না থেকে নিজ সংসদীয় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এবং এক পর্যায়ে প্রচুর বেআইনী অর্থ পাচার করে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। কথিত আছে, ১/১১-তে পটিয়ার নেতাকর্মীদের বিপদের মুথে রেথে তিনি ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করেন। আর এমনি এক নাজুক পরিস্থিতিতেও সৈয়দ সাদাত আহমেদ এলাকার সাধারণ মানুষ তথা দলের পাশে নিরবচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের পরে শাহজাহান জুয়েল স্বপরিবারে কানাডা পাড়ি দেন এবং ২০১৭ সালে দেশে এসে দক্ষিণ জেলার প্রতিনিধি সভায় যোগ দেন। এরপর তাকে দলীয় শৃংঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। অনেক চেষ্টা তদ্বির করে তিনি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ঢাকায় অবস্থান করেন। কিন্তু আবারও তিনি হঠকারীতার পরিচয় দিলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কারারুদ্ধ হওয়ার পরে তাঁর মুক্তির দাবিতে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত না হয়ে আবার কানাডা পাড়ি দিয়ে। শাহজাহান জুয়েল ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জয়ের পর তার ভগ্নিপতি কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সাইফুদ্দিন খালেদ বাবুলকে বিএনপিতে যোগদান করিয়ে স্বজনপ্রীতির পরিচয় দেন। এরপরই তাকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয় এবং যার হাত ধরে পরবর্তীতে বিএনপির ভাবমূর্তি নীতি আদর্শ ভুলন্ঠিত হয়। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারীতার নজির সৃষ্টি করেন। তাঁর হাতে দলের নেতাকর্র্মীরা কোনোভাবে উপকৃত না হয়ে বরং হেনস্থা হয়েছেন প্রতি পদে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি স্বল্প শিক্ষিত চাল ব্যবসায়ী এনামুল হক এনাম। এলাকাবাসীর কাছে তিনি নীতি নৈতিকতাহীন, উচ্ছৃখল প্রকৃতির মাদকাসক্ত এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এর বহু প্রমাণ রয়েছে তাঁর কর্মকান্ডে। প্রথমত দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তিনি অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন। তাঁদের সামনে পা তুলে সিগারেট ফুঁকেন। প্রতিদিন মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করা তার স্বভাব। জানা যায়, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত এনাম প্রতি মাসে ৪-৫বার করে কক্সবাজারে গিয়ে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করেন। সম্প্রতি তার পিএস মহিউদ্দীন ইয়াবার চালান নিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বর্তমানে জেলে আটক রয়েছে। এনামের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা ও ২০১৩ সালে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মীসভা পালন করা এবং তৎকালীন যুবদল নেতা মো. শাহজাহানকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে গোয়েন্দা ও পুলিশের তালিকায় অন্তরভুক্ত থাকায় কঠোর নজর দারিতে রয়েছে। সৈয়দ সাদাত আহমেদের প্রতিক্রিয়া চলমান পরিস্থিতি নিরিখে নিজেকে কতটা যোগ্য মনে করেন-এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ সাদাত আহমেদ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আমি এলাকাবাসীর রায় প্রত্যাশা করবো। তাঁরাই হচ্ছেন যোগ্যতা পরিমাপের মূল চালিকাশক্তি। আমি কতটা কি করেছি এলাকাবাসীর জন্য এবং এ যাবতকালে বাকিরা কে কি করেছেন তার সব কিছুরই বিচারের ভার থাকবে আমার এলাকাবাসীর কাছে। তাঁদের বিবেচনায় যোগ্য হলে আমার দলেরও এক্ষেত্রে দ্বিমতের কোনো আবকাশ থাকবে না। দলের মাধ্যমে, দলের সুনাম তুলে ধরে এলাকাবাসীর সেবা ও উন্নয়নে আমি পিছপা হবোনা এ প্রতিশ্রুতি আমি দিতে পারি।


এই বিভাগের আরও খবর....
ThemeCreated By bdit.Com
Share