সোনাই ডেক্স:রংপুর বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী দীপা ভৌমিক উরফে স্নিগ্ধাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রংপুর জেলার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর ৩ এপ্রিল রংপুর শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়ায় রথীশের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে রথীশের লাশ বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে র্যাব।
এর আগে রথীশের স্ত্রী দীপা ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ৩০ মার্চ ভোরে নগরীর বাবুপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে রওনা হন রথীশ।
তার ‘নিখোঁজের’ খবরে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। রথীশ যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী ছিলেন বলে সন্দেহের তীর যায় জামায়াতে ইসলামী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর দিকে।
পরে দীপা ও তার সহকর্মী স্কুলশিক্ষক কামরুল ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
দীপা ও কামরুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করার জন্য রথীশকে হত্যা করেন বলে আদলতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দুই আসামিই তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে কামরুল গত ১০ নভেম্বর মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।
রায় ঘোষণার আগে কড়া পুলিশ পাহারায় এ মামলার একমাত্র বেঁচে থাকা আসামি দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধা সরকারকে আদালতে হাজির করা হয় এ সময়।