সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের রাজশাহীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শশুরকে হত্যার চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

কলাপাড়ায় সাবেক মেম্বার ও এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ

মো.ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি / ২৭৯
নিউজ আপঃ শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ৪:২৩ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ পাইয়ে দেয়ার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ইউপি সদস্য ও এক  প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিদ্যুতের খুঁটি ও মিটার দেয়ার নাম করে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবার থেকে ৭’শ টাকা থেকে শুরু ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তলোন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তবে এসব চাঁদা উত্তলোনের টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে খুশি করতেই নেয়া হয়েছে বলে দাবী অভিযুক্তদের। শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এ ¯েøাগান নিয়ে  মুজিব বর্ষে শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌছেঁ দেয়ার লক্ষে কাজ করছে বর্তমান সরকার। আর এ  সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউপির আলীগঞ্জ  গ্রামে চলছে দর কষাকষি বিদ্যুৎ বানিজ্য। ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য লালন মিয়া ও মো. হুমায়ুন খান এর নেতৃত্বে বিভিন্ন পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা । বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষে এসব টাকা দেয়ার কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো মিটার পাইনি বলে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। ওই এলাকার গৃহিনী শাহানাজ বেগম জানান, তার ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের জন্য হুমায়ুনে খানের কাছে খুঁটি ও মিটার বাবদ ৬ হাজার টাকা দিয়েছি, কিন্তুু এখন পযর্ন্ত মিটার পায়নি। তবে এতো টাকা কেনো দিয়েছেন জানতে চাইলে গৃহিনি বলেন, টাকা না দেয়ায় খুঁটি আমার বাড়ি থেকে দুরে সরে গিয়েছিলো। তাই বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। আর এক গৃহিনি জানান, সবুজ’র নামে বিদ্যুতের  মিটার পেতে লাইন ও মিটার বাবদ ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। এখনও মিটার পাইনি। ব্যবসায়ী আল-আমিন মৃধা জানান, অফিস খরচ ও মিটার বাবদ ৩ হাজার টাকা দিয়েছি দেড় মাস আগে, এখন পর্যন্ত মিটার পাইনি।  একই অভিযোগ শহীদুল, কাঞ্চন আলীসহ অনেক পরিবারের।
এবিষয়ে চাঁদা উত্তোলনকারী হুমায়ুন বলেন, আমার এলাকায় অনেক পরিবার বিদ্যুৎ পায়নি। এলাকার লোকজন আমাকে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতে বলায় আমি পটুয়াখালী বিদ্যুৎ অফিসের উপদেষ্টা ডিজাইন ও লাইন পরিদর্শক আবদুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আরো বলেন অফিসার বলেছে টাকা দিলে লাইন তারা তারি পাবে, টাকা না দিলে লাইন পেতে ছয়-সাত মাস লাগবে। আমি তাদের কথামতো গ্রামের বিভিন্ন পরিবারের কাছ থেকে টাকা তুলে তাদের কাছে দিয়েছি। সাবেক ইউপি সদস্য লালন বলেন,আমি মানুষের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছি তা থেকে সামান্য খরচা রেখে বাকিটা অফিসে জমা দিয়েছি। তবে আপনি টাকা নেয়ার কে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এরিয়ে যান। অভিযুক্ত কর্মকর্তা পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ উপদেষ্টা ডিজাইন ও লাইন পরিদর্শনকালী আঃ কাদের বলেন, আমি বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার বাবদ কোন টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে আভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শহীদুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ কোন টাকা নেয়া হয়না। এছাড়া আবদুল কাদের নামে কলাপাড়া অফিসে কোনো কর্মকর্তা নেই। তিনি আরো বলেন, এর আগেও লালনের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনো পর্যন্ত  কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। ভুক্তভোগীদের অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন তিনি।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর