পশ্চিমের কৃষি প্রধান জেলা রাজবাড়ীর পাংশায় কৃষি জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে কৃষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। পাশাপাশি কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদিত শস্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তবে এ বিষয়ে কৃষকসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না, অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে জমি চাষাবাদে পাওয়ার টিলারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও অন্যান্য যন্ত্রপাতি তেমন একটা ব্যবহার হচ্ছে না। জমিতে চারা রোপন, আগাছা পরিস্কারসহ ফসল কাটা-মাড়াইয়ের সকল কাজই কৃষি শ্রমিকের উপর নির্ভরশীল। মাঠের ফসলকে রোগবালাই থেকে রক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকারক কীটনাশক। জমিতে একসঙ্গে কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় পাওয়ার স্প্রে। কৃষক সাধারণত হ্যান্ডস্প্রে (হস্ত চালিত যন্ত্র) দিয়ে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে। জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের সময় মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাবস পরিধান আবশ্যক হলেও সচেতনার অভাবে কৃষিশ্রমিকদের তা পড়তে দেখা যায় না। এতে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে সরিষা ইউনিয়নের বাঘারচর গ্রামের কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন, কীটনাশক জমিতে প্রয়োগের সময় ক্ষতিকর গন্ধসহ্য করতে হয়। তাছাড়া ঔষধ প্রয়োগের পর মাথা ঘোরাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু কিভাবে ঔষধ প্রয়োগ করলে কোন সমস্যা হবে না তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কেউ কোন পরামর্শ দেয়নি। গ্রামের সকল কৃষক এভাবেই জমিতে কীটনাশক প্রায়োগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রতন কুমার ঘোষ জানান, প্রথমত আমরা কৃষককে কীটনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকারই পরামর্শ দিয়ে থাকি। আলোক ফাঁদ এর মাধ্যমে চাষাবাদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। ওসমানি পদ্ধতিতে (ঔষধ, সময় মাত্রা ও নিয়ম মাফিক সঠিক প্রয়োগ) বিষ প্রয়োগের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কৃষকরা জৈব সারের চেয়ে রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার করে। তবে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়, তার জন্য আমরা কাজ করছি।