চট্রগ্রামঃ
কর্ণফুলী ব্রীজে যাত্রী হয়রানী চরমে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম।
♦জসিম মাহমুদ♦
দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী ব্রীজ। এই পথে দৈনিক লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করে। প্রতিনিয়ত এখানে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। এই যাত্রী হয়রানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে ভুক্তভোগী মহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজারগামী নানা কোম্পানীর গাড়ী সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি করলেও ট্রাফিক পুলিশের কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ নেই। এছাড়া বরমা-বরকল, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, সাতকানিয়া ও বান্দরবানগামী বাস সড়কের মাঝে যাত্রীর অপেক্ষায় দাড়িয়ে যানজটকে আরো তীব্র করে তুলছে। সড়কের মাঝখানে গাড়ী রেখে চালক আয়েশ করে চা পান করছে আর হেলপার ব্যাস্ত যাত্রী উঠাতে। পিছনের গাড়ী বিরামহীন হর্ণ বাজাচ্ছে ফলে শব্দ দূষণের যন্ত্রণায় ভুগছে যাত্রীরা। গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায় যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সব সময় গাড়ীর চালকরা এইখানে গাড়ীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার দুই-তিন গুণ ভাড়া আদায় করে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার আসলে ভাড়া রেড়ে হয় তিন-চার গুন। একদিকে যেমন যাত্রীর ভিড় অপরদিকে গাড়ীর জট দুইটি মিলে বাড়িয়ে দিচ্ছে দুর্ঘটনা। দৈনিক ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটলেও অনেক সময় প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। ২০১৮ সালে এই পর্যন্ত ১০টি তাজা প্রাণ হারিয়েছে কর্ণফুলী ব্রীজ সংলগ্ন এই গোল চত্বরে। ভাড়া নিয়ে গাড়ীর চালক-হেলপার ও যাত্রীদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ নিত্যদিনের ব্যাপার। এই ঝগড়া কখনো কখনো মারমারিতেও পরিণত হয়। এমন কোন দিন নেই দুই-চার জন যাত্রী গাড়ী শ্রমিকদের হাতে নাজেহাল হচ্ছে না। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ এতসব অব্যবস্থাপনার দিকে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা ব্যস্ত টোকেন বাণিজ্য ও চাঁদা আদায় করায়। কিছু সচেতন যাত্রী অভিযোগ করলেও ট্রাফিক পুলিশ তা কানে নেয় না। ট্রাফিকদের সাথে গাড়ী শ্রমিকদের যেন দহরম-মহরম সম্পর্ক। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগি যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ জরুরী মনে করছেন।