শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

সাগরে দেখা নেই রুপালী ইলিশের, জেলেরা ট্রলার নিয়ে ফিরছে শুন্য হাতে

মো.ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, / ৪৪০
নিউজ আপঃ বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১, ২:০৫ অপরাহ্ন

পোনে দুই লক্ষ টাকার বাজার নিয়ে ৭ দিন সমুদ্রে চষে ইঞ্জিণের ত্রæটি নিয়ে ঘাটে ফিরছে এফ.বি জিহাদ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার। ১৬ কেজি ইলিশ, ৪টি গোলপাতাসহ সামান্য কিছু টোনাফিস নিয়ে ঘাটে ফিরে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন। বুধবার দুপুরে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর আড়ৎ পল্লীতে কথা হয় ট্রলারের মাঝি আঃ জলিলের সাথে। চোখে মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে বড় আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি। ট্রলারের ১৮ জন জেলের পরিবার কেমনে চলে।

ইলিশের ভরা মৌসুমে বুক ভরা আশা নিয়ে সমুদ্রে গেছে জেলেরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইলিশের দেখা পায় নি কোন ট্রলার। সাগর চষে ইতোমধ্যে কয়েকটি ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে শুন্য হাতে। দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধের পর সমুদ্রে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পরার স্বপ্ন ছিলো জেলেদের। কারো জালেই বড় ইলিশ ধরা পরেনি। সামান্য কিছু ছোট সাইজের ইলিশ পেয়েছে কয়েকটি ট্রলার। তাতে বাজার খরচ ওঠেনি কারো। তারপরও লোকশানের বোঝা মাথায় নিয়ে ফের সমুদ্রে যাচ্ছে ফিরে আসা ট্রলারগুলো।

জানা গেছে, ৬৫দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। ২৪ জুলাই জেলেদের সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যেতে পারেনি। এরপর গত ২৭-২৮ জুলাই মাছ ধরা ট্রলারগুলো সমুদ্রে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ট্রলারই ইলিশের সন্ধান পায়নি।

গত রোববার রাতে দেড় লক্ষ টাকার বাজার সওদায় নিয়ে পাথরঘাটা ঘাট থেকে সমুদ্রে যায় এফ.বি.তাওহীদ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার। দুই দিন সমুদ্র চষে ইঞ্চিণের নাট ভেঙ্গে আলীপুর ঘাটে এসে ৫৫ হাজার টাকার ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রয় করেছে। আলীপুর ঘাটে কথা হয় এফ.বি. তাওহীদ নামের মাছ ধরা ট্রলারের মিস্ত্রি ছগির হোসেন গাজীর সাথে। তিনি বলেন, দেড় লক্ষ টাকার বাজার নিয়ে গেলাম সমুদ্রে, মাছ বিক্রয় করলাম ৫৫ হাজার টাকা। এই লসের  (লোকসান) বোঝা মাথায় নিয়ে আবার সমুদ্রে যাবো।

ট্রলার মালিক মো.আল-আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমার একটি ট্রলার সমুদ্রে আছে। গত সাত দিনে ১০টি ইলিশ পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ট্রলার বিক্রয় করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’

মৎস্য ব্যবসায়ী মো.মিজানুর রহমান বলেন, ‘আড়ৎ পল্লীর আড়ৎদাররা তাদের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে বর্তমানে ব্যবসা ঠিক রাখছেন। এখন মাছ না পেলে পালিয়ে এলাকা ছাড়তে হবে।’

মহিপুর মৎস্য বন্দর আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুদ বলেন, সমুদ্রে জেলেদের জালে কোন ইলিম মাছ পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা ছোট আকারের অল্প কয়েকটি মাছ। আমরা মৎস্য ব্যবসায়ীরা হতাশ।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর