শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ফেনীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফলোআপ গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সামাজিক ও আইনি বিষয়ক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলুর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ সাভার ডিজিটাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর শুভ উদ্বোধন ব্যাচমেটস্ 0305 ক্রিকেট র্টুনামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে ‘টিম অদম্য সাভার’ এস এল এ মানবাধিকার সংস্থার মানবাধিকার দিবস পালিত রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

হবিগঞ্জে ৫ বছর ধরে পরিত্যক্ত ব্রীজঃজন দূর্ভোগ চরমে

প্রতিবেদকের নাম / ৩৯১
নিউজ আপঃ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৯, ১:৪৪ অপরাহ্ন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ‘চিনাই নদীর’ ব্রীজটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষকে। বার বার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও কোন উপকার পাচ্ছেন না ভূক্তভোগীরা।

জানা যায়, বানিয়াচং উপলোর পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ‘চিনাই নদীর’ উপর প্রায় শতাধিক বছরের পুরোনো ব্রীজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ ব্রীজটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটিতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও নজর নেই ব্রীজটির দিকে। ফলে ব্রীজটি জীবন নাশের কারণ হতে পারে ভেবে স্থানীয় জনগণই এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। প্রায় ৫ বছর ধরে স্থানীয় জনগণ এটি ব্যবহার করছে না। ফলে নদী পারাপারে তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ।

স্থানীয় জানান, শুকনো মৌসুমে নদীর উপরে বাঁশের চট বিছিয়ে নদী পাড়াপার হচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিশু-বৃদ্ধরা নদী পাড় হতে গিয়ে অনেক সময় পিছিঁল খেয়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া পারাপার হওয়ার আর কোন মাধ্যম নেই এখানে। অথচ এই রাস্তা দিয়েই উপজেলাসহ জেলা সদরে আসতে হয় বানিয়াচং উপজেলার ৫/৬টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে। সেই সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার ২/৩টি গ্রামের আরও ৫ হাজার মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে এই রাস্তা দিয়ে যাতাযাত করেন।

ব্রীজটি সংস্কারের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ণা দিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। অথচ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টো উপজেলা চেয়ারম্যানও স্থানীয় সাংসদের উপর দায় চাপিয়ে দেন তিনি।

এ ব্যাপারে কলেজছাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন- ‘দীর্ঘদিন ধরে এই ব্রীজটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে আমরা ব্রীজটি ব্যবহার করছি না। ফলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।’
তিনি বলেন- ‘সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। এর আগেই ব্রীজটি নির্মাণ না করা হলে এই এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষের দূর্ভোগের শেষ থাকবে না।’

অন্য এক স্থানীয় বাসিন্ধা মো. জীবন মিয়া বলেন- ‘বার বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে আমাদের অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন ‘শিশু ও বৃদ্ধরা বাঁশের চট দিয়ে নদী পাড় হতে গিয়ে অনেক সময় পিছিঁল খেয়ে পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এছাড়া এই ব্রীজটি না থাকার কারণে এই রাস্তা দিয়ে অনেক জায়গা হেটে গাড়িতে উঠতে হয়।’

এ ব্যাপারে স্থানীয় পৈলারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল রহমান খান গাঁ ছাড়া বলেন- ‘ব্রীজগুলো দেখা আমাদের বিষয় না। এটি উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি সাব দেখবেন। আমরা শুধু বিষয়টি তাদের কাছে উপস্থাপন করতে পারি।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছেন কি না ? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘এগুলো দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ঢাকা থেকে অর্ডার আসবে, টেন্ডার হবে এরপর কাজ। দেখা যাক কি হয়।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share