সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত দুই বিয়াই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা তাজ খান নাঈমের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট বিরামপুরে শহিদ পরিবারের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নবাবগঞ্জে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সাবেক যুগ্মসচিব নিশীথ কুমার সরকার রাজশাহীতে আল আকসা’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৪ জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে …………………. শার্শায় বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-শ্রমিক

প্রতিবেদকের নাম / ৩৯৩
নিউজ আপঃ রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি ॥ শুরু হয়েছে বোরো চাষাবাদ। মাঠে মাঠে জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-শ্রমিক। তবে বিদ্যুতের মাঝে মাঝে লো-ভোল্টেজের কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অপরদিকে, লোকসান ঠেকাতে আগামী বোরো ক্রয় মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবী জানান তারা। চাষিরা বলছেন শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠু ভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।
ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনের ব্যস্ততা। শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, গভীর নলকুপ দিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হয়। সবাই একসাথে জমি তৈরী করতে নলকুপের উপর কিছুটা চাপ পড়েছে। অপরদিকে বিদ্যুতের মাঝে মাঝে ভেলকিবাজী চলছে। দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। সাথে রয়েছে বিদ্যুতের লো-ভল্টেজ। গভীর নলকুপ থেকে ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় জমি প্রস্তুত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
কৃষক তবিবুর রহমান বলেন, ডিএপি ১বস্তা ১৩শ টাকা, এমওপি ১ বস্তা ৮শ টাকা, ইউরিয়া ১বস্তা ৮শ টাকা, কীটনাশক ১১শ টাকা, জমি চাষ ও রোপন ২ হাজার টাকা, পানি সেচ ১ হাজার ৫শ টাকা এবং কাটা-মাড়াই প্রায় ২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ফলন হয় বিঘা প্রতি ২০-২২ মন। বর্তমান বাজারে ধানের দাম ৬৫০ টাকা করে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কিছু থাকে।
কিন্তু যারা বর্গাচাষী তাদের কিছুই থাকেনা। এতে করে প্রতিবছর আমাদের লোকসান গুনতে হয়। সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে তাহলে ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে। উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষিদের মধ্যে বোরো চাষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় কৃষকরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে শার্শা উপজেলায় এবার ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ৫০, ব্রি-ধান ৬৫, ব্রি- ধান ৬৭, ব্রি-ধান ৮১ সহ হাইব্রিড মিনিকেট ধান চাষ হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ৪শ কৃষককে প্রনদনা কর্মসূচীর আওতায় ১ বিঘা জমি প্রতি সার, বীজ সহায়তা প্রদান এবং ৯৩ জন কৃষক/কৃষানীকে এনএডিবির আওতায় সার, বীজ বিতরণ সহ বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, প্রতিবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। ফলে শীত এবং কুয়াশার প্রকোপ অনেক কম থাকায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে কম এবং চারাও সুস্থ সবল হয়েছে। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এবছরও বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share