শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রুয়েট কর্মকর্তার প্রাণনাশের হুমকি রাজাকারের শ্যালকের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগে ‘আকাশ” সিন্ডিকেট রাজশাহীতে জালিয়াতি করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা দিবসে নতুনধারার দিনব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বাঘায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন পাইকোর (paicoo) ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হাজারো যুবক হাজার কোটি টাকা উধাও মিরপুর ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ ফের ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের দাবি দুর্নীতির কারণে নির্মমভাবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে : মোমিন মেহেদী
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

মুন্সীগঞ্জে  আড়িয়াল বিলে সৌন্দর্য উপভোগের অর্পূব স্হান

মোঃ‌লিটন মাহমুদ  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, / ৩৬২
নিউজ আপঃ বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১, ৪:১৯ অপরাহ্ন

আড়িয়াল বিল (Arial Beel) ঢাকার দক্ষিণে পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে অবস্থিত প্রায় ১৩৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি অবভূমি। বর্ষায় পানিতে টই টই, শীতে শুকিয়ে বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। মুন্সীগঞ্জ এর আড়িয়াল বিলে গেলে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। নানা রকম শীতের সবজি চাষ হয় আড়িয়াল বিলে। তবে এ বিলের বিশেষ আকর্ষণ বিশাল আকৃতির মিষ্টি কুমড়া। পুরো আড়িয়াল বিল জুড়ে শীতে চাষ হয় মিষ্টি কুমড়া। শীত শেষে পাকলে মাঠ থেকে তোলা হয়। এছাড়া শুকনা আড়িয়াল বিলে খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায় নানান জাতের ছোট বড় পাখি। ঢাকার আশে পাশে হওয়ার কারনে খুব সকালে গিয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকা ফিরে আসা যায়।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর বাজার থেকে একটি সড়ক এঁকেবেঁকে সোজা চলে গেছে আড়িয়াল বিলের দিকে। এ পথে শ্যামসিদ্ধি গ্রাম পেড়িয়ে আরও সামনে গেলে গাদিঘাট। এ পর্যন্ত পিচঢালা পথ। সেখান থেকে কালভার্ট পেরিয়ে আরও সামনে কিছু দূর গেলে সড়কের শেষ। আড়িয়াল বিলের শুরু মূলত গাদিঘাট থেকেই। সেখান থেকে সর্পিল আঁকাবাঁকা একটি খাল চলে গেছে বিলের ভেতরে। শীতে সে খালের পানি শুকিয়ে তলায় ঠেকে। দূর বিল থেকে নৌকা বোঝাই মিষ্টি কুমড়া নিয়ে আসেন গুন টেনে। গুন টানা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে অনেক আগে দেখা যেত। ইঞ্জিনের সহজলভ্যতার কারণে তা হারিয়ে গেলেও এখনো আড়িয়াল বিলে শীতে দেখা যায়।
শীতের শেষের আড়িয়াল বিলে কৃষকদের মূল ব্যস্ততা থাকে মিষ্টি কুমড়া নিয়ে। আড়িয়ার বিলের কোনো কোনো মিষ্টি কুমড়া দুই মনেরও বেশি ওজনের হয়ে থাকে। শীতের শেষে আড়িয়াল বিলে আরও চোখে পড়বে মাছ ধরার দৃশ্য। বিলের মধ্যে খাল ছাড়াও আছে কিছু জলাশয়। এসব জলাশয়ে পানি কমে যাওয়ায় মাছ ধরেন স্থানীয়রা। পানি সেচে মাছ কুড়ানোও দেখা যাবে।
আড়িয়াল বিল থেকে ফেরার পথে দেখে নিতে পারেন শ্যামসিদ্ধির মঠ। শ্রীনগর বাজারের পশ্চিম দিকে শ্যামসিদ্ধি গ্রামে অবস্থিত এ প্রাচীন এ মঠের দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথের ওপরে বাংলা শিলালিপি অনুযায়ী ১৮৩৬ সালে বিক্রমপুরের জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তি শম্ভুনাথ মজুমদার এটি নির্মাণ করেন। জনশ্রুতি আছে সম্ভুনাথ স্বপ্নে তার স্বর্গীয় পিতার চিতার উপরে মঠ নির্মাণের নির্দেশ পেয়ে মঠটি নির্মাণ করেন। প্রায় ২৪১ ফুট উঁচু এ মঠ দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়েও পাঁচ ফুট উঁচু। তাই বলা যেতে পারে এটা ভারত উপমহাদেশের সর্বোচ্চ মঠ। অষ্টভুজ আকৃতির এ মঠ দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ২১ ফুট। চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি মঠের দেয়াল বেশ পুরু। মঠের উপরের দিকে বাইরের দেয়াল জুড়ে আছে শত শত খোড়ল। এগুলোতে বাসা বেধেছে শত শত সবুজ টিয়া, ঝুটি শালিক। তাই মঠটি সবসময়ই পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর