মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বসাকপাড়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে পাল্টা গনপিটুনি খেয়েছেন সাটুরিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। এঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে সাটুরিয়া বসাক পাড়ার দীপক বসাকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বসাক পড়ার মালিক দীপক বসাক (৩৩), তার স্ত্রী টুম্পা বসাক (২৫), বাবা দুলাল বসাক (৬৩), শ্বশুর দীনেশ বসাক ও শ্যালক দ্বীপ বসাক (২৩) আহত হয়েছেন।
পাল্টা হামলায় আহত হন সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক (৩৫) ও তার সহযোগী শাহীনুর ইসলাম (২৫)।
সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের ফজলুল মাস্টারের ছেলে আবদুল খালেক। আর একই গ্রামের জুলহাশের ছেলে শাহীনুর।
আহতদের সবাইকে সাটুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দিলেও যুবলীগ নেতা আবদুল খালেকের অবস্থা গুরুতর থাকায় তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।
দীপক বসাক বলেন, শনিবার সকালের খাওয়া শেষে তিনি এবং তার স্ত্রী বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে আবদুল খালেক তার ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করতে চান।
প্রতিবাদ করলে আবদুল খালেক তাকে এবং তার স্ত্রীসহ অন্যদের মারধর করে। হামলার কথা শুনে এগিয়ে আসলে তারা তার শ্বশুর ও শ্যালককেও মারধর করে। একপর্যায়ে বাড়ির সবাই মিলে হামলাকারীদের ধাওয়া করে। এতে খালেক ও শাহীনুর আহত হন।
দীপক বসাক অভিযোগ করে বলেন, আবদুল খালেক তার কেনা ৭ শতাংশ জমির দখল করতে চাচ্ছে। ৬/৭ মাস আগে তিনি তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিলেন। তখন তিনি ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিলীপ কুমার মজুমদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-দেশ রুপান্তর