ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়’র ত্রান প্রশাসন শাখা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারী করে। যা শুক্রবার কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়’র ত্রান প্রশাসন শাখা’র উপসচিব আবু সাইদ মো: কামাল স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরাধীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল করে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন এবং ২৩জুলাই সরকারী হিসাবে জমা করেছেন যা সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮এর ০৩(খ) এবং (ঘ) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেহেতু উক্ত বিধিমালা এর সংশ্লিষ্ট ধারায় তাকে সরকারী চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তার বিরুদ্ধে উল্লিখিত বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা রুজু করা হবে। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে বিএসআর পার্ট-১ এর বিধি-৭১ অনুযায়ী বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
এরআগে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ১০টি কমিউনিটি সেন্টার ও ছয়টি ঘাটলা নির্মানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দকৃত এক কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার তিন শ’ পয়ত্রিশ টাকা কোন কাজ না করেই জাল জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেয় রাঙ্গাবালী উপজেলার মেসার্স সারিকা ট্রেডার্স। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির গলাচিপাস্থ সোনালী ব্যাংকের হিসাব নম্বরে (চলতি- ৪৩১০২০০০০১৫০৫) কলাপাড়া হিসাব রক্ষন অফিসের ব্যয় বরাদ্দ বিলের ভাউচারের মাধ্যমে এ টাকা হস্তান্তর হয়।
এদিকে পিআইও’র সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারী করা হলেও বিপুল পরিমান এ অর্থ উত্তোলন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ব্যাংক ও হিসাব রক্ষন অফিসের কর্মকর্তারা কি থেকে যাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে? এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।