অদ্য (২৭শে মার্চ) সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন আশরাফুল উলুম দারুল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর নুরানী বিভাগের ছাত্র মোঃ শাহ পরান (১০) মৃত্যুবরণ করেন।
ভিকটিম মৃত মোঃ শাহ পরান (১০) বেগমগঞ্জ থানাধীন ১২নং কুতুবপুর ইউনিয়ন এনায়েতপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। গত ২৬শে মার্চ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম শাহ পরান’কে দুই দিনের ছুটি শেষে তার মা মাদ্রাসায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায় ভিকটিম অসুস্থ হলে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ভিকটিমের মাকে সংবাদ দেয়। কিন্তু ভিকটিমের মা মাদ্রাসায় না আসায় ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আজকে অর্থাৎ ২৭শে মার্চ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে অসুস্থ অবস্থায় বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যায় ভিকটিম গতকাল থেকে তাহার নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় ছিল। অতঃপর ভিকটিমের মা অসুস্থ অবস্থায় মাদ্রাসায় দিয়ে গেলে গতকাল রাতে ভিকটিম মাদ্রাসায় একবার বমি করে। একপর্যায়ে আজ সকালে ভিকটিমের অবস্থা খারাপ হইলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে এসে মাদ্রাসা কর্তৃকপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা তার ছেলেকে মেরে ফেলছে। সংবাদ পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম মোঃ শাহ পরানের মৃতদেহ হাসপাতালে পাইয়া ভিকটিমের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং ভিকটিমের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার উদ্দেশে ভিকটিমের মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পুলিশ আমাদের জানায় প্রাথমিক ভাবে ভিকটিমের দেহে কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় নাই।
এই বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুল হক রনি আমাদেরকে জানান, মাদ্রাসা ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের মৃতদেহ শনাক্ত করে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং লাশ ময়না-তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।