মাধবপুর প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রামবাসী ৩ ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনায় আটক তিনজনের নামে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরীর পিতা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ সব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজামান।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বহরা গ্রামের রঙ্গুমিয়ার ছেলে আবদাল মিয়া (১৮) একই উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল সালামের ছেলে মনির মিয়া (১৮) বেলাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে খুরশেদ মিয়া (১৮)।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাতে আটক প্রেমিক আবদাল মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মঘর ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামের আলাউদ্দিনের কিশোরী কন্যাকে বেলাপুর গ্রাম নানা বাড়ি থেকে বের করে নেয়। পরে রাতে বহরা রাবার ড্যাম সোনাই নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে একই স্থানে আবদালের দুই বন্ধু খুরশেদ ও মনির কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে গ্রাম বাসীরা এগিয়ে এসে তিন ধর্ষককে ধাওয়া দিয়ে আটক করে কাসিমনগর ফাঁড়ী পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে কাসিমনগর ফাঁড়ীর উপ পরিদর্শক (এস আই) শাহআলম জানান, “প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে আটক তিনজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। ধর্ষণের স্বীকার কিশোরীর পিতার সঙ্গে মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মেয়েটি বেলাপুর নানা তাহের মিয়ার বাড়ি থেকে তালিবপুর আহছানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। কিশোরীর সরলতার সুযোগ নিয়ে আটক আবদাল মিয়া প্রেমের অভিনয় করে অসৎ মতলবে দুই বন্ধুকে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে।”
মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কামরুজ্জামান জানান, “আটক তিন ধর্ষককে বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।