জামালপুরের বকশীগঞ্জে গত এক মাস ধরে বিদ্যুৎ এর ভয়াবহ লোড শেডিং চলছে। এনিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ জোনাল অফিসের গ্রাহকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যে তারাবিহ, ইফতার ও সেহরির সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ না করায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে গ্রাহকরা রয়েছে চরম দুর্ভোগে।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গ্রাহক হতাশার কথা জানান এবং দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহান জানান।
জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ লোড শেডিং এর প্রকৃত কারণ জানাতে ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্রিফিং দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) জয় প্রকাশ নন্দী।
জয় প্রকাশ নন্দী জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতায় ১৩ টি ইউনিয়নের মোট ৮৭ হাজার ৫০০ জন গ্রাহক রয়েছে। এর বিপরীতে প্রতিদিন বকশীগঞ্জ উপজেলায় ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর চাহিদা রয়েছে।
সেখানে দিনের বেলায় ২ থেকে ৫ মেগাওয়াট ও রাতের বেলায় ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে।
মূলত জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকায় পাওয়ার স্টেশন গুলোতে চাহিদামত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না ফলে ময়মনসিংহ বিভাগে বিদ্যুৎ এর লোড শেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। তাই তিনি এই সংকট মোকাবেলায় গ্রাহকদের ধৈর্য্য ধারণ ধরতে অনুরোধ করেছেন।