সোনাই ডেক্স:ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিলেট এবং বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি সিলেটের যৌথ উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন ফার্মেসীতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী নগরীর পাঠানটুলা, আম্বরখানা ও মিরবক্সটুলা এলাকার ফার্মেসীতে নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয় প্রতিরোধে এবং এন্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ফার্মেসীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্দেশাবলী প্রদান করা হয়।
সিলেট জেলার ড্রাগ সুপার শিকদার কামরুল ইসলাম শুদ্ধি অভিযানের সময় ফার্মেসী পরিদর্শনকালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণে পৃথক ব্যবস্থা, কন্টেইনারে বা ড্রামে ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয়ের জন্য নহে’ লিখে রাখার ও ওষুধ কোম্পানিকে দ্রুত ফেরত দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রয় না করার পরামর্শ দেন এবং প্রতিটি ফার্মেসীতে ড্রাগ লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট সার্টিফিকেট এর ফটোকপি ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। তিনি ইনভয়েছ ছাড়া ওষুধ কোম্পানির নিকট হতে ওষুধ ক্রয় না করার জন্য ফার্মেসীর মালিকদের সর্তক করেন এবং ফিজিসিয়ান স্যাম্পুল ও রেজিঃ বিহীন (ডিএআর নং) ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় না করার নির্দেশ প্রদান করেন। ড্রাগ সুপার জানান, শুদ্ধি অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।
জেলা ড্রাগ সুপার শিকদার কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে শুদ্ধি অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিলেটের কম্পিউটার ইনচার্জ মো. মাহবুব আলম সুমন, বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সিলেট শাখার সিনিয়র সহসভাপতি এ.টি.এম মোশাহিদ উদ্দিন, পরিচালক আব্দুল করিম বড় ভূইয়া, মো. মুবিন আহমদ, সদস্য মো. জিয়াউল ইসলাম ও অফিস সহকারী মো. রেজাউল ইসলাম লস্কর প্রমুখ।