রাজবাড়ী ১নং আমলী আদালতে সরকারের খাদ্য বান্ধব (১০ টাকা কেজির চাল) কর্মসূচিতে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ এনে জেলার সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন, নিরাপত্তা প্রহরী আলমগীর হোসেন এবং লেবার সরদার মোঃ শামসু রহমান কে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মনোয়ার হোসেন।
মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত ফরিদপুরের পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার বাদী ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মনোয়ার হোসেন মনো বলেন, তিনি ২০১৬ সাল থেকে রাজবাড়ী বাজারে থাকা তার দোকান থেকে ৫০০ জন কার্ডধারী দরিদ্র ব্যক্তিকে ১০ টাকা কেজি করে সরকারি চাল প্রদান করে আসছেন। তাকে প্রতিটি ডিও তে রাজবাড়ীর সদর খাদ্য গুদাম থেকে ৫০ কেজির ৩০০ বস্তা চাল দেয়ার নির্দেশনা ছিলো। অথচ তার অজান্তে ওই সব ডিও তে ৩৮০ বস্তা পর্যন্ত চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
আবার যে সব বস্তা তাকে দেয়া হয়েছে তাতেও রয়েছে ৪ থেকে ৫ কেজি করে চাল কম। একই সাথে প্রতিটি পাটের বস্তার ওজনের পরিবর্তে ৭শত গ্রাম করে চাল প্রদান করার কথা থাকলেও তাও দেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, কার্ডধারীদের চাহিদার চাল পূরণ করতে তাকে অধিক মূল্যে চাল কিনে তা প্রদান করতে হয়েছে। খাদ্য অফিসে অভিযোগ করে তিনি কোন প্রতিকার পাননি। ফলে একপর্যায়ে তিনি ডিও, ওজনের টালি খাতা সংগ্রহ করেন। তাতে দেখতে পান তার কোন কোন ডিও ব্যবহার করে ৩শত বস্তার পরিবর্তে ৩শত ৮০ বস্তা পর্যন্ত চাল খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আবার তাকে প্রদান করা কোন বস্তাতেই ৫০ কেজি নিট ওজন পাওয়া যায়নি। মূলত তার ঘাটতি হয়েছে খাদ্য গ্রদাম থেকে। যার কারণে এই কয়েক বছরে তিনি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। তিনি এর সাথে জড়িত আসামিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, জেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১শত ১৩ জন ডিলার রয়েছে। এই সব ডিলারদের মাধ্যমে ৫৬ হাজার ৪শত ৮৩ জন কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি চাল কিনছেন।
অভিযোগ ও মামলার ব্যাপারে রাজবাড়ী সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন জানিয়েছেন, খাদ্য গুদামে কোন কারসাজি করা হয় না। ডিও অনুযায়ী চাল প্রদান করা হয় ডিলারদের।