সোনাই নিউজ:নির্যাতনের অভিযোগ থাকায় ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানো হবে কি-না, সে বিষয়ে সরকার নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, নির্যাতনের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও অমানবিক। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এ কারণে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শনিবার বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সরকারিভাবে এক লাখ এক হাজার নারীকর্মী মধ্যপ্রচ্যের বিভিন্ন দেশে যান। এর মধ্যে ৭৩ হাজার গেছেন সৌদি আরবে। যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে দূতাবাসের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে থেকে ফেরত এসেছেন এক হাজার ২৩৪ জন।
এ ছাড়া নিজ উদ্যোগেও অনেক নারীকর্মী দেশে ফেরত আসেন বলে জানা গেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার বিদেশ গমনে ইচ্ছুক ও প্রবাসীদের কল্যাণে নানামুখী উদ্যোগ নিলেও দূতাবাসগুলো অভিবাসীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিচ্ছে না। দূতাবাসগুলোকে আরও অভিবাসীবান্ধব হতে হবে। একইসঙ্গে প্রবাসীদের সেবা দিতে দূতাবাসগুলোর সহায়ক ডেস্ক ২৪ ঘণ্টা চালু করা উচিত। দূতাবাসে কর্মরতদের আরও বেশি সেবামূলক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর জোর দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ শিল্প ইত্যাদি খাতের মতো বড় কোনো অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ছাড়াই অভিবাসন খাত থেকেক প্রতিবছর ১৩-১৪ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। নতুন বাজার তৈরি করতে অভিবাসন কূটনীতি আরও জোরদার করতে হবে।
প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।