যশোর সদরের বসুন্দিয়ায় নির্মাণাধীন রেল লাইনের লোহার রড চুরির অভিযোগে ৪ শ্রমিকসহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩৮০ কেজি রড ও একটি পাম্পসহ স্যালো ইঞ্জিন উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড়স্থ্য নড়াইল রোডের শরিফুলের ভাংড়ির দোকান ও পার্শবর্তি পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে ওইগুলো উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো, ঘুনি গ্রামের হোসেন মোল্যার ছেলে আশিক (২১), নোয়াব আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন (১৭), আব্দুল মজিদের ছেলে ইয়ামিন হোসেন (১৮), আজগর আলীর ছেলে ইমরান হোসেন (১৯) এই প্রজেক্টের শ্রমিক এবং একই গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (১৩)।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, যশোরের বাঘারপাড়া হয়ে সদরের বসুন্দিয়ার সিঙ্গিয়া রেল স্টেশন পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন সংযোগ স্থাপনের কাজ চলমান। দিনে এবং রাতে সেখানে অনেক জনবল দায়িত্ব পালন করে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘুনি এলাকা থেকে ব্রীজ নির্মাণে ব্যবহারের জন্য ৩৮৪২০ মিলি মিটারের ৫৫ পিস ল্যাপিং রড, ২১ পিস ১৬ মিলি মিটারের রড ও একটি স্যালো ইঞ্জিন চুরি হয়ে যায়। পরদিন কাজে ব্যবহারের জন্য রড না পেয়ে বিভিন্নস্থানে খোঁজখবর নেয়া হয়। এক পর্যায়ে নির্মাণাধীন রেল লাইনে কর্মরত ৪ জন শ্রমিক এই রড চুরির সাথে জড়িত বলে জানতে পারে কর্তৃপক্ষ। সে কারণে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সন্দেহ জনকভাবে ওই চার শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে অভিযান শুরু করে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সাইফুল ইসলাম ও পিয়ারুল ইসলামসহ রেল লাইন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তখন ভাংগাড়ী ব্যবসায়ী শরিফুলের দোকান থেকে শ্যালো ইঞ্জিন, পাম্প ও ২৫টি রেডি রড এবং পার্শবর্তি আসমত আলী বিশ্বাসের পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে বাকী রডগুলো উদ্ধার করা হয়। একই সাথে ৪ শ্রমিকসহ ৫জনকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য চোরাই এই রডগুলো বসুন্দিয়া মোড় বাজারের ভাংড়ি ব্যবসায়ী শরিফুল ক্রয় করেছিল বলে আটককৃতরা জানিয়েছে। তবে অভিযানের বিষয়টি আগে থেকে জানতে পেরে ভাংড়ি ব্যবসায়ী শরিফুল সটকে পড়ে।
উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন বিশেষ বাহিনীর প্রজেক্ট কমান্ডার এম,এন,সি,ও ইঞ্জিনিয়ার জামাল উদ্দিন, প্রজেক্টের দোভাষী আলমগীর হোসেন আলম, বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সাইফুল ইসলাম ও পিয়ারুল ইসলাম।