ঈদকে সামনে রেখে বুধবার মধ্যরাত থেকে আটদিনের জন্য কঠোর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ফলে সড়কে আবারও স্বাভাবিক হয়েছে গণপরিবহন চলাচল, এছাড়া বিভিন্ন দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে আগের মতো। ক্রেতার ভিড় বাড়ছে শপিংমল সহ মার্কেট গুলোতে।
তবে সরকার জাতীয় পরামর্শক কমিটি ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কে গুরুত্ব না দিয়ে ‘ঈদ উদযাপন ও দরিদ্র মানুষের রোজগারের স্বার্থে’ কঠোর লকডাউন শিথিল করেছে। আগামী ২৩ জুলাই ভোর থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হবে। তাতে জরুরি সেবা বাদে শিল্পকারখানাসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আজ থেকে আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে খোলা থাকবে শপিংমল ও মার্কেট।
রাজবাড়ী জেলার গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে গুলোতে রয়েছে মানুষের উবছে পড়া ভিড় নেই স্বাস্থ্য বিধি মানার বালাই। সব থেকে বেশি লোক সমাগম দেখা গেছে ফ্রিজ শোরুম গুলোতে। এখানে পুরুষের থেকে মহিলাদের উপস্তিতি বেশি ছিলো।
রাজবাড়ী জেলা শহর, পাংশা ও বালিয়াকান্দির গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে গুলোতে গিয়ে দেখা যায় দুই সপ্তাহের শাটডাউনের পর দোকান খুলতে খোস মেজাযে আছেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানির ঈদের ব্যবসা ধরতে তর সইছে না তাদের।
দিনের আলো ফুটতেই খুলতে দেখা গেছে, রাস্তার আশপাশের অন্যান্য দোকানপাটও। ক্রেতা আসুক বা না আসুক দোকান খোলা গেছে এটাই যেন বড় স্বস্তি।
রাজবাড়ী কুষ্টিয়া হাইওয়ের পাশের দোকানি আব্দুল আজিজ বললেন, ‘ভাই, দুই সপ্তাহ পর দুহান খুললাম। মাসের অর্ধেকটা শেষ দোকান ভাড়া কী দিব, সংসার খরচ কোথা থেকে মিলাব।’
এদিকে লকডাউন শিথিল করে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় আজ ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন রুটে ছোট-বড় বাস, সিএনজিচালিত অটো রিকশা, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, টেম্পুসহ বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রী চলাচল শুরু হয়। ভোর বেলায় পরিবহন ও যাত্রী সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে রাস্তায় গণপরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
সরেজমিন জেলার পাংশা আজিজ সরদার মোড়, কালুখালি চাঁদপুর বাস স্টান্ড, গান্দিমারা বাস স্টান্ড, রাজবাড়ী নতুন বাজার, বড়পুল, গোয়ালন্দ মোড় ও দেশের অন্যতম নৌরুট গোয়ালন্দ ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ লকডাউন শেষে রাস্তায় সকাল থেকেই লোকজনের উপস্থিতি অনেক বেশি। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাসের হেলপারদের উঁচু গলায় যাত্রীদের ডাকতে দেখা যায়। আর আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার জন্য একাধিক ব্যাগ নিয়ে বহু যাত্রীদের বাসে ও অন্যান্য পরিবহনে উঠতে দেখা যায়।