করোনা সংক্রমন বিস্তার রোধে সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। প্রথম দিনই বন্ধ রয়েছে উপজেলা শহরের সকল ধরনের দোকানপাট ও ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা ছিলো চোখে পরার মত। বিনা কারনে ঘরের বাইরে বের হলেই করা হচ্ছে জরিমানা আদায়।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের একটি দোকান খোলা রাখায় দায়ে ১ হাজার টাকা এবং মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ায় আরও চারজনকে ২৩’শ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক। এদিকে উপজেলার মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুরে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল আইনে ১৭ জনকে অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাদেরকে ১৭ হাজার ৭৩০ জরিমান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎ বন্ধু মন্ডল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জগৎ বন্ধু মন্ডল বলেন, লকডাউনের মধ্যে লোকজন আইন অমান্য করায় তাদের এ অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। কলাপাড়া ও মহিপুর দুই প্লাটুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবি এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান, বাজার, খেয়াঘাট ইজারাদার ও কলাপাড়া ইমাম সমিতির সাথে আলোচনা করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এদিকে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক কঠোর এ পদক্ষেপকে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সচেতনমহল সাধুবাদ জানিয়েছেন ।