পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে সামুদ্রিক বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধের বাইরে প্রকৃতির সবুজ দেয়াল সৃজিত গোলগাছ কেটে মধ্যে বসতবাড়ি যাতায়াতের রাস্তা ও প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মাছের ঘের।
বাঁধ রক্ষা করে জনপদকে। আর বাঁধকে রক্ষা করে গোলগাছের বাগান। কিন্তু সেই গোলগাছ কেটে সাফ করে লোকে বসত বাড়ির রাস্তা ও মাছের ঘের । কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের বাঁধের বাইরে এই চিত্র পাওয়া গেছে। সেখানে বন বিভাগের সৃজন করা গোলগাছ কেটে বসবাড়ির ও রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। ফলে বর্ষার সময় এ বাগানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এতে বাগানের গাছ মারা যাবে। হুমকির মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও পরিবেশ ।
এবিষয়ে স্থানীয় বসিন্দারা বলছেন, যারা এখানে দখলবাজ আছেন তারা প্রভাবশালি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাল দখল করে গোল গাছ, কেওড়া গাছ কেটে মাছের ঘের ও রাস্তা নির্মান করে আসছে। আর বন বিভাগেরও এতে যোগসাজশ আছে। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে সৃজিত গোলগাছ কেটে বসতঘরে যাতায়াতের রাস্তা বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাছের ঘের।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.রবিউল, মন্নান খান নামের ব্যক্তিরা সেখানে গোলগাছ কেটে পরিষ্কার করে ঘরের যাতায়াতের রাস্তা করেছেন।
গোলগাছের বাগানে ঘর ও রাস্তা নির্মান করা মো. রবিউল আলী বলেন, ঘর নির্মান করেছি আমার রেকর্ডিও জমিতে। বন বিভাগেরর কর্মকর্তা অনুমতি নিয়েই গোলগাছ কেটে রাস্তা নির্মান করেছি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুস ছালাম বলেন, খবর শুনে লস্করপুর গ্রামে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।