রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের রাজশাহীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শশুরকে হত্যার চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গায়েব করার হুমকী দেয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়রী
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

কলাপাড়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রবেশ পত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

মো.ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, / ১৭২
নিউজ আপঃ রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৩৪ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২১ এইচ এসসি পরিক্ষায় প্রবেশ পত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের  অভিযোগ উঠেছে দায়ীত্বপ্রাপ্ত এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের একাংশ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝেও ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন অর্থ বাণিজ্য ধামাচাপা দিতে অর্থ আদায়কারীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ২০০০ সালে স্থাপিত কলাপাড়া মহিলা কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জাতীয় শিক্ষাবোর্ডের অধিনে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শরু হয়। এর পরে  ২০১৫ সালের মার্চ মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে কলেজটি ডিগ্রি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে সুনামের সাথে পাঠদান কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে  অনুষ্ঠিতব্য ২০২১ এইচ এসসি পরীক্ষায় প্রবেশ পত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির দায়ীত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জহির উদ্দিন মো. ফারুকের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১’শ ৬৮ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশ পত্রের নামে ১২’শ টাকা করে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্তারা। এছাড়াও বিদায় অনুষ্ঠানের নামে অতিরিক্ত ২’শ টাকা করে নিয়ম বহির্ভ‚ত চাঁদা আদায় করা হয়েছে। কথা হলে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কোন ধরনের রশিদ না দিয়েই তাদের কাছ থেকে ১২’শ টাকা নেয়া হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ফলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ প্রভাব পরতে পারে বলেও মনে করছেন তারা। এবিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) জহির উদ্দিন মো. ফারুক জানান, আপনাদের কাছে যতটা অভিযোগ রয়েছে আসলে ততটা না। তবে ডি ডি স্যার একটা নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. বাহাউদ্দিন জানান, আমি অসুস্থকালীন সময়ে অধ্যক্ষ সাহেব ফোন করে জানিয়েছেন যে এডমিটের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিবেন। তবে অতিরিক্ত ১২’শ টাকা আদায় করা হবে তা আমার জানা ছিল না।
বরিশাল অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান,বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার সাথে সাথে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ওই অধ্যক্ষকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফেরৎ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এধরনের অর্থ আদায় অবৈধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর