হাজীগঞ্জে পুলিশ ও বিজিবি’র বাধার পরও দুই স্থানে অস্থায়ীভাবে সিএনজি-অটো স্ট্যান্ড রাখা হয়েছে! প্রথম স্থানটি হচ্ছে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার হাজীগঞ্জ পৌরসভার সামনে পুলিশি বেরিকেডের(চেকপোস্ট) পূর্ব দিকে এবং দ্বিতীয় স্থানটি হচ্ছে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার পুরনো বাস স্ট্যান্ডের সামনে পুলিশি বেরিকেডের(চেকপোস্ট) পশ্চিম দিকে। দু’টি স্থানই কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কে হওয়ায় হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কে প্রবেশ করতে পারছে না সিএনজি-অটো।
এদিকে চেকপোস্ট পার হলেই হাজীগঞ্জ বাজারে প্রবেশের জন্য একমাত্র ব্যবস্থা রিক্সা। কিন্তু রিক্সা চালকগণ তাদের অধিপত্য বিস্তারে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে কথা হয় একজন সিএনজি চালকের সাথে। তিনি বলেন, বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানগণ রয়েছে। লকডাউনে কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছি। টানা লকডাউনে আমি সহ সকল সিএনজি চালক ও মালিকগণের দূরাবস্থার কথাওতো চিন্তা করা উচিত। তাদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা প্রয়োজন। সেদিকেও সরকারের দায়িত্বশীলগণের নজর দিতে হবে।
এক পথচারী বলেন, হাজীগঞ্জ থেকে দোয়াভাঙ্গা ২০ টাকার ভাড়া ৫০টাকা দিয়ে যাচ্ছি। পরিবারের সমস্যা থাকলেতো যেতেই হবে।
হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশীদ জানান, যেখানে যন্ত্রচালিত কোন যানবাহন চলাচল নিষেধ। নির্দিষ্ট কিছু যান ছাড়া। সেখানে এইভাবে জড়ো থাকাটা ঠিক নয়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। চেকপোস্টগুলোর দায়িত্বশীলগণ বিষয়টি সমাধানে কাজ করবেন।