মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির তালিকা ভুক্ত সকল লাইব্রেরী নবায়ন না করে নতুন লাইব্রের কে নবায়ন করে কিছু পুরাতন লাইব্রেরী নবায়ন না করে মোটা অংকের টাকার সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, মাধবপুর সদরের বিমল দাসের মালিকাধীন পপুলার লাইব্রেরী ও তার ছেলের স্টুডেন্ট লাইব্রেরী সহ কিছু লাইব্রেরী নবায়ন না করে তাদের ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতি সহ সদস্য পদ বাতিলের পায়ঁতারা করছে।বছরের প্রথমেই তাদের নির্ধারিত নবায়ন ফি ২০০০ টাকা করে মোট চার হাজার টাকা মাধবপুর উপজেলার পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরীর মালিক শ্যামল দেবের কাছে সভাপতি মুজাহিদ বিন ইসলামের উপস্থিতিতে জমা দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নবায়ন করেনি।
এ ছাড়া জনৈক রায়হান নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে বিভিন্ন নতুন ও নাম সর্বস্ব লাইব্রেরী ১০/১২ হাজার টাকা নিয়ে নবায়ন করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলার পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের নিকট জবাবদিহি করতে হয়েছে। হবিগঞ্জের পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান মাধবপুর উপজেলার পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিবাদী বিমল দাসের সাথে অমিল থাকার কারণে তার সদস্য পদ নবায়ন করেনি বলে তিনি ঢাকা কেন্দ্রিয় পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির কাছে এক লিখিত অভিযোগ করেছে।
এদিকে মাধবপুর উপজেলার পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরীর মালিক শ্যামল দেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা আমার কাছে আছে।মনে হয় কম মূল্যে বই বিক্রীর কারনে সদস্য পদ নবায়ন করেনি। তবে কি কারণে নবায়ন করেনি তা আমি জানি না। এ সময় সাহেব নগর ,মনতলার আলাউদ্দিন লাইব্রেরীর মালিক মুক্তিযোদ্ধা সুবেদ আলী উপস্থিত ছিলেন। মাধবপুর উপজেলার পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মুজাহিদ বিন ইসলাম বলেন, বিমল বাবু মাধবপুরে লাইব্রেরী জগতে পথিকৃত। সুদীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে সুনামের সাথে। তার সদস্য পদ নবায়ন না করে হীন্যমনতার পরিচয় দিয়েছে জেলা কমিটি। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
মোবাইল ফোনে হবিগঞ্জের পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমানে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সদস্য পদ নবায়ন তো সব সময়ই চলে।এ ব্যপারে আমি কিছু জানি না।আর রায়হান আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।তবে বিমল বাবু পুরাতন ব্যবসায়ী তিনি ভাল মানুষ। ভুক্তভুগী বিমল দাস বলেন, আমাকে ব্যবসায়িক ভাবে কোনঠাসা ও সদস্য পদ বাতিল করে আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে চাইছে।যা আমার জিবনের সব অর্জন নষ্ট করে দিবে।তাই আমি সংশ্লিস্ট সবার কাছে বিচার চাই।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির সিন্ডিকেট করে চড়া দামে বই বিক্রি করে আসছে।যার মাশুল দিচ্ছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর অবিভাবকরা।