বর্ষার মৌসুম মানেই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার নদী পারের মানুষের আতংক। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হঠাৎ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মজিদ শেখের পাড়ায় শুরু হয় ভয়াবহ ভাঙন৷ প্রায় ২ ঘন্টার ভাঙনে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে ১৫০ মিটার এলাকায় ১৬টি বসতবাড়ি।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিআইডাব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যবস্থাপনার কারণে ১০ মিনিটের ভাঙনে ১৬টি বাড়ী পদ্মায় বিলীন হয়েছে।
এছাড়া পদ্মাপারের আরও শত শত স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে। আতংকে রয়েছে শত শত মানুষ।
ভাঙনের কারণে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি সরানোর কাজে ব্যস্ত। কেউ ঘরের খুঁটি খুলছেন, কেউবা অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন ঘরের চাল। চোখের সামনে রাক্ষুসী পদ্মার হিংস্র থাবায় একে একে গ্রাস করছে বসতভিটা। দীর্ঘদিনেও স্থায়ী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পদ্মায় নদীগর্ভে ক্ষতিগ্রস্থ বিলাস ব্যাপারী বলেন, আশা ছিলো কর্তৃপক্ষ জিও ব্যাগ ফেলবে। কিন্তু তারা বড় বড় বস্তা ফেললেও কিন্তু কোন কাজে আসেনি। আমার সবকিছু নদীতে চলে গিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাঙনে প্রকোপ এতই বেশি, যেকোন সময় লঞ্চঘাটও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফা মুন্সী জানান, নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে পাউবোসহ ঊর্ধ্বতন মহলকে বিস্তারিত অবগত করা হয়েছে। জরুরি নদী শাসনের কাজ না করা হলে মানচিত্র থেকে হয়ত দৌলতদিয়ার নাম মুছে যাবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক মামুন বলেন, ‘হুট করে পদ্মায় নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।