রাজবাড়ীর পাংশায় ভ্রাম্যমান আদালতে একটি অবৈধ নকল সারের কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জোরালো ভাবে ব্যাবস্তা নেয়ার আস্বাস।
শনিবার (১২ মার্চ) বেলা একটার সময় উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুঁইজোর এলাকার বঙ্গবন্ধু নতুন বাজারে ওই সারের কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন-উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনিম আওন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ, পাংশা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন সহ থানা পুলিশের একটি টিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে স্থানীয়রা জানান, বিগত তিন চার মাস যাবত কারখানার মালিক (কামরুল হাসান) বাজারে কয়েকটি ঘর ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের ঔষধ কোম্পানির মোরক নকল করে, মাটি, বালি, ইটের গুঁড়া বা কুচি পাথরের সাথে রং ও বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে সার ও কীটনাশক তৈরি করে অবৈধ ভাবে বাজারজাত করে আসছিল।
অবৈধ সারের কারখানার মালিক কামরুল হাসান বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আনন্দবাজারের মৃত ইসলাম শেখার ছেলে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে এই বাজারে অবৈধ সারের কারখানা আছে আমরা সরেজমিনে এসে দেখতে পাই বাংলাদেশের বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের সার ও কীটনাশক কম্পানির মোরক নকল করে অবৈধভাবে বাজারজাত করে আসছিল।
এসমস্ত সার ও কীটনাশক খেত খামারের দিলে ফসলাদির ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে ন। আমরা প্রাথমিকভাবে কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনিম আওন বলেন, এখানে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরি করে আসছিল ভেজালকারীরা। কারখানার সাথে সম্পৃক্ত কাউকে পায়নি সবাই পালিয়েছে।তবে এই কাজে ব্যবহারকৃত মেশিন ও কিছু নকল মোড়ক জব্দ করা হয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে কারখানাটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হয়েছে তিনি বলেছেন আগামীকাল যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।