সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। জনসাধারণের রাস্তা চলাচলে দুর্ভোগ ও ফসলি জমি রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে মন্ত্রিপরিষদের কড়া নির্দেশ উপেক্ষা করে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি দুষ্টচক্র।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনীম আওন জানান, কেউ যদি বালুমহল ইজারা নেয় তাহলে শর্তানুযায়ী বালু উত্তোলন করবে আর যদি কেউ আইনবিরোধী কাজ করে বা অননুমোদীত হয় তাহলে স্থানীয় প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে।
সরেজমিনে উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে ট্রলি ও ড্রাম ট্রাকে বালু উত্তোলন করে পরিবহনের প্রতিযোগিতা চলছে। বালু ব্যবসায়ী একটি দুষ্টচক্র নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালু উত্তোলন করেছে। কোথাও আবার এ সব বালু বিশাল স্তূপ করে রাখা হয়েছে হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া, চরঝিকরি, শাহমিরপুর ও চরয়াফড়াসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়কের পাশে।
হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে দলীয় ক্ষমতাসীন লোকজন জড়িত। তারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে তারা আসলে বালু উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় আবার শুরু হয়। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে।
অটোচালক সুমন বিশ্বাস ও বাবলু মিয়া বলেন, গ্রামীণ সড়ক এমনিতেই চলাচলের জায়গা সীমিত। সড়কের পাশে বালু স্তূপ করে রাখে বালু ব্যবসায়ীরা ও ট্রাকে বালু লোড করে। আমাদের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
শাহমিরপুর এলাকার মতিয়ার রহমান বলেন, পদ্মা নদী থেকে বালু খনন করে ট্রলিতে নিয়ে যাওয়ায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি ও চলাচলের রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। খুব দ্রুত এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিভাগের আরও খবর....