মঙ্গলবার (১০ই এপ্রিল) দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় ১৪ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্র গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত ভিকটিম হাতিয়া পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ড চর-কৈলাস গ্রামের জনৈক নাসির উদ্দিনের ছেলে মোঃ হেমায়েত উল্লাহ সিয়াম (১৪)। ভিকটিম মোঃ হেমায়েত উল্লাহ সিয়াম স্থানীয় উকিলপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হেফজ খানায় পড়াশুনা করতো এবং তার ১৬ পারা কোর-আন মাজিদ মুখস্ত ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সিয়াম মঙ্গলবার দুপুর অনুমান ০১.১০ ঘটিকার সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগ অভিমান করে সকলের অগোচরে ঘরের দরজা বন্ধ করে বসত ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এই সময়ের মধ্যে ভিকটিমের মা জোসনা বেগম ভিকটিম সিয়ামকে না দেখে পরিবারের অন্যান্য লোকজন সহ ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করে। পরে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখে ভিকটিমের মা জোসনা বেগম ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে ভিকটিম সিয়াম ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে। ভিকটিমের মা চিৎকার দিয়ে তাৎক্ষনিক লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমকে ঝুলন্ত অবস্থা হইতে নিচে নামিয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় ।কিন্তু সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভিকটিম সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে হাতিয়া থানার এস আই মোঃ আবদুর রাজ্জাক হাসপাতালে পৌছে ভিকটিম মোঃ হেমায়েত উল্লাহ সিয়াম (১৪) এর মৃতদেহ শনাক্ত মতে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং লাশ ময়না-তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিরুল ইসলামের সহিত আলোচনাকালে তিনি আমাদেরকে জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত পূর্বক সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।