করোনায় গত দেড় বছরে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ১০ হাজার ৮০০ জন কিশোরীর মধ্যে ৫৭২ জন কিশোরীর বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছেন,কিশোরীরা সকলেই স্কুল শিক্ষার্থীর ।লেখাপড়া বন্ধ করে এখন স্বামীর সংসার করছেন শিক্ষার্থীরা । ওয়ার্ল্ড মিশন প্রেয়ারলীগ (ল্যাম্ব হাসপাতাল) এবং এ্যাডলোসেন্ট এন্ড কমিউিনিটি ট্রান্সফরমেশন (এসিটি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদের মধ্যে ১২-১৩ বছর বয়সী ৩১ জন, ১৪-১৫ বছর বয়সী ২২৯ জন এবং ১৬-১৭ বছর বয়সী ৩১২ জন কিশোরী রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড মিশন প্রেয়ারলীগ (ল্যাম্ব হাসপাতাল) এর টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর গোলাম মোস্তফা প্রতিবেদক আর কে ওসমান আলী কে জানান,উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ১ থেকে ৬ ওয়ার্ডে ২০ সদস্যের ১ টি করে মোট ৫৪০টি কিশোরী দল রয়েছে। তাদের, যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার ৮০০ জনের কাছে সদস্যরা সকলেই স্কুল শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে গত ২০২০ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ৫৭২ জন কিশোরীর বিয়ে হয়েছে। ৫৭২ জনের মধ্যে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন ২৩ জন এবং পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে করেন ৫৪৯ জন। এছাড়াও লেখাপড়ার চলমান রয়েছে ৬১ জনের আর লেখাপড়া বন্ধ হয়েছে ৫১১ জনের।
বাল্য বিয়ে হওয়া কিশোরীদের মধ্যে উপজেলার জয়পুর ইউপিতে ৬৯ জন, বিনোদনগরে ৫১ জন, গোলাপগঞ্জে ৯০ জন, শালখুরিয়ায় ৬৪ জন, পুটিমারায় ৫৩ জন, ভাদুরিয়ায় ৬৮ জন, দাউদপুরে ৪০ জন, মাহমুদপুরে ৪৬ জন এবং কুশদহ ইউয়িনের ৯১ জন।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের প¶ থেকে বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে উপজেলার সকল এলাকায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। সাধারণ মানুষদের মাঝে জনসচেতনতায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ল্যাম্ব এর ম্যানেজার উৎপল মিনাজ জানান, বাল্যবিয়ের প্রধান কারণ অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং দারিদ্রতা। বাল্য বিবাহ রুখে দাঁড়াতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে, এ থেকে উত্তোরন হতে না পারলে জাতী মেধাশূণ্য হয়ে পড়বে।