দেশের অন্যতম নৌরুট রাজবাড়ী দৌলদিয়া প্রান্তে কঠোর লকডাউন শেষে গণপরিবহন ও কোরনানীর পশুবাহি ট্রাকের চাপে ঘাট এলাকায় নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পুড়েছে অসংখ্য যানবাহন। এতে করে যাত্রীদের সাথে ট্রাকে থাকা গরুগুলো নিয়ে চরম বিপাকে মালিকেরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে অন্তত ৩ কিলোমিটার দূরে প্রযন্ত সৃষ্টি হয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে সিরিয়ালের দৈঘ্য। আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রীদের দূর্ভোগের পাশাপাশি প্রচন্ড গরমে কোরবানী উপলক্ষে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ট্রাকে করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া গরুগুলো নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা। রোদ ও গরমে বেশীর ভাগ গরুগুলো অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলা তাদের ভরসা হাতপাখা। প্রতিটি ট্রাকে ৮/১০জন করে রাখাল অবিরাম গরুগুলোকে বাতাস করে চলেছেন।
কুষ্টিয়া থেকে পরিবহনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এক জন যাত্রী বলেন, কঠোর লকডাউনের কারণে ঢাকায় যেতে পারি নাই। একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেতে হচ্ছে আবার ঈদের আগেই ফিরতে হবে তবে আমি নিয়মিত ঢাকা চলাচল করি। অনেক কিছু পরিবর্তন দেখেছি কিন্তু ঘাটের এই দূর্ভোগের চিত্রের পরিবর্তন হলো না। কয়েক ঘন্টা আগে এসেছি কিন্তু ফেরির নাগাল পেলাম না কখন পাবো তার ও ঠিক নাই।
এ জন গরু ব্যবসায়ী বলেন, এলাকা থেকে শুরু কিনেছি বেশি দামে বিক্রির আশায় ঢাকা যাচ্ছি। তবে সময় মত যেতে না পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না তেমনি এই সকল গরু গরম সয্য করতে পারে না এতে করে গরু গুলো অসুস্থ হয়ে পরছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র স্থানীয় সূত্র জানায়, এক সাথে বিপুল সংখ্যক যানবাহন একসাথে নদী পারাপার হতে আসায় দৌরতদিয়া ঘাট এলাকায় নদী পারের অপেক্ষায় যানবাহনগুলো সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। দূর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও কোরবানীর পশুবাহি ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদ-উল আযহা উপলেক্ষ দু’একদিনের মধ্যে আরো দু’টি রোরো ফেরি এ নৌরুটের বহরে যুক্ত হবে। এছাড়া ৩নং ফেরি ঘাটটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রেখে মেরাতম কাজ করা হচ্ছে।