সুনামগঞ্জে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের রামশাইরগাঁও গ্রামে বসতঘরের আড়া (ধর্ণা) থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ফাতেমা আক্তার (৩০) নামে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ জুন) ময়নাতদন্ত শেষে নিহত নারীর মরদেহ তার পরিবার ও স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
নিহত ফাতেমা দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের রামশাইরগাঁও গ্রামের সৌদি প্রবাসী জামাল মিয়ার স্ত্রী। নিহতের সাত, চার ও দুই বছর বয়সী তিন শিশুপুত্র রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী জামাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার তিন পুত্রসন্তান উপজেলার রামশাইরগাঁও গ্রামে নিজ বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। স্বামীর অবর্তমানে ফাতেমা বেশ কয়েকমাস ধরেই কিছুটা মানসিক অস্বস্থিতে ভোগছিলেন।
শনিবার নিজ শিশু সন্তানদের যথারীতি সকালের নাস্তা করিয়ে দুপুরের আগেই তাদেরকে গোসল করানোর পর খাবার খাইয়ে বাড়ির বাইরে খেলাধুলার জন্য পাঠিয়ে দেন ফাতেমা। এরপর দুপুরের পর কোনো এক সময়ে শিশু সন্তানদের অলক্ষ্যে নিজ শয়নকক্ষের আড়া (ধর্ণা) এর সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
বিকালে নিহতের ছয় বছর বয়সী বড় ছেলে জাহেদুল হক খেলাধুলা থেকে বাড়ি ফিরে শয়নকক্ষে ঢুকে মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দিলে বিষয়টি তখন পরিবারের অন্যরা ও প্রতিবেশীরা জানতে পারেন।
নিহত ফাতেমার বাবা উপজেলার রামশাইরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন মেয়ে নিহতের ঘটনায় শনিবার রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. আবুল হাশেম ফাতেমা আত্মহননের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।