দক্ষিনের সম্রাট নামে একটি গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন সানিয়াত হোসাইন। সে কুয়াকাটা পৌর সভার আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা। সম্রাটের ওজন প্রায় ১০ মন। কুয়াকাটা গরু বাজারে দাম হাকিয়েছেন সাড়ে ৩ লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি দাম বলছে না। ক্রেতার কাঙ্খিত দাম না বলায় ফেরত নিয়ে গেলেন বাড়িতে। এছাড়া আর এক কুয়াকাটা বাসিন্দা সৈয়দ মোহাম্মাদ রিয়াজ কালা পাহাড় নামে একটি গরু এই হাটে নিয়ে এসেছেন। এ গরুটির ওজন প্রায় ৯ মন। আড়াই লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ক্রেতারা ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি দাম বলছে না। গরুর মালিক বলেন, উপযুক্ত দাম পেলে বিক্রি করবেন।
এদিকে সমুদ্র উপকুলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শেষের দিকে জমে উঠেছে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর হাট। এবছর দেশী ছোট গরুর চাহিদা অনেক বেশি। বড় গরুর চাহিদা কম দেখা গেছে। দামের দিক থেকেও গত বছরের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। তবে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে স্বাস্থবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর জন্য নির্দেশনা দিলেও এসব পশুর হাটগুলোতে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতা। উপজেলার বালিযাতলী, নোমরহাট, বলিয়াতলী, বানাতিবাজার কুয়াকাটা, মহিপুরসহ বিভিন্ন পশুরহাটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাটগুলোতে কোরবানীর পশু ও মানুষের প্রচুর ভীড়। ক্রয়-বিক্রয়ও ছিল ভালো। বড় বড় গরুর পাশাপাশি ছাগল, মহিষও ছিল হাটে। কেউ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন, আবার কেউ বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন। কেউ আবার অপেক্ষায় কাঙ্খিত দামে আদরের পশু বিক্রির জন্য।
ক্রেতা রহিম খান ও সাকিব বলেন, অনেক ঘুরে পছন্দের গরু ক্রয় করেছি। তারা বলেন চলতি বছর তুলনামুলক গরুর দাম কম।
শিক্ষক মো.মোহাজ্জেম হোসেন হাট থেকে গরু কিনে বাড়িতে আসার পর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলেন, একটা টেনশন থেকে অবশেষে আগেভাগেই মুক্ত হলাম।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো.আনোয়ার হাওলাদার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রচুর পরিমান পশু এসেছে। পৌর সভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনার জন্য বলা হয়েছে।