সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বৃহস্পতিবার ১৮ নভেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান ও রাস মেলা উৎসব। দুইদিন ব্যাপী রাস
মেলা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার ভোরে গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে
শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রাসমেলা আয়োজক কমিটি। ইতোমধ্যে হিন্দু
ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান এবং রাস উৎসবে আগত পূণ্যার্থী ও দর্শণার্থীদের
বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে রাসমেলা আয়োজক কমিটি ও প্রশাসনের
পক্ষ থেকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাস উৎসবকে সামনে রেখে শ্রী শ্রী রাধা কৃঞ্চ
মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। রং তুলির আচঁরে সাজিয়ে তোলা
হচ্ছে প্রতিমা গুলোকে। মেলায় অংশ গ্রহন করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে
ভাসমান দোকানিরা মেলার সামগ্রী নিয়ে কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেছেন। প্রতি
বছর এ মেলায় বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। পর্যটন
নগরী কুয়াকাটায় এখন সর্বত্রই বিরাজ করছে সাজ সাজ রব।
গত দুই বছর করোনার কারনে আয়োজন করতে পারেনী এ শত বছরের রাস মেলা। তবে
সিমিত আকারের আয়োজনে ও ভক্তের ইপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
জানা গেছে, গঙ্গাস্নান ও রাসমেলা উৎসবকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের সাথে মেলা উদ্যাপন কমিটি
ইতোমধ্যে বৈঠক করেছেন। ব্যাপক সংখ্যক আগত পূণ্যার্থী ও দর্শণার্থীদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা
ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো
হবে চেক পোষ্ট। পুলিশের পাশাপাশি নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে
কোন নাশকতা রোধে আনসার, র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মোতায়েন
থাকবে এমনটাই পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে।
অপরদিকে গঙ্গাস্নান ও রাস মেলায় আগত হাজার হাজার পূন্যার্থী ও
দর্শনার্থীদের সমাগমকে সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে হোটেল মোটেল ও
পর্যটনমূখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো।
এ বিষয়ে কথা হয় শ্রী শ্রী রাধা কৃঞ্চ মন্দিরের পরিচালক ও পুরোহিত
ব্রম্রচারী শিশির মহারাজ’র সাথে তিনি জানান, আগত হাজার হাজার
পূন্যার্থীদের সমন্বয়ে ১৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) শ্রী কৃঞ্চের মহা নাম
যজ্ঞের মধ্য দিয়ে এ রাস পুজার আরম্ভ করা হবে এবং ১৯ নভেম্ববর (শুক্রবার)
বিকেলে শ্রী কৃঞ্চের নাম যজ্ঞ শেষে ¯œানের মধ্যে দিয়ে রাস পূজা শেষ হবে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ
জানান, মেলায় আগত দর্শনার্থী ও পূন্যর্থীদের বরণ করতে তারা প্রস্তুত
রয়েছেন। অতিরিক্ত দর্শনার্থীদের চাপকে পুঁজি করে কোন হোটেল মালিক যাতে
ফায়দা লুটতে না পারে সে দিকে নজর রাখা হবে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, গঙ্গাস্নান ও
মেলায় আগত পূণ্যার্থীদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন
ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করা হয়েছে।