পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাথী আক্তার (১৭) নামের এক নববধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কুয়াকাটার পাঞ্জুপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মৃত সাথীর পিতা হারুন সরদার বাদি হয়ে মাহিপুর থানায় একটি মামলা করেছে। পুলিশ ওইরাতে স্বামী জাহিদুল ইসলাম (২৭) কে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সকালে নববধুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নববধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের অমতে মাত্র দেড় মাস আগে সাথী আক্তার ও জাহিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। এর পর কাজের সুবাদে তারা কুয়াকাটায় এসে পাঞ্জুপাড়া এলাকায় সুমন সিকদারের বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে বেশ ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। বৃহস্পতিবার রাতে সাথী ফ্যানের আংটার সাথে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে মৃত্যুর আগে একটি সুসাইড নোট লিখে গেছেন। মৃত সাথী উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের হারুন সরদারের মেয়ে। এছাড়া পটুয়াখালীর আউলিয়াপুর গ্রামের সেলিম হাওলাদারের পুত্র জাহিদুল ইসলাম। পেশায় একজন ইলেকট্রিক মেকানিক বলে জানা গেছে।
মৃত সাথীর পিতা হারুন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই জাহিদুল তার মেয়েকে বিনা কারনে অত্যাচার করতো।
মহিপুর থানার ওসি মো.মনিরুজ্জামান বলেন, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত নববধুর স্বামী জাহিদুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৃত সাথী আক্তারের স্বামী জাহিদুল ইসলাম কুয়াকাটায় ইলেকট্রিকের কাজ করার সুবাদে তারা উভয় মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটা পৌরসভার পাঞ্জুপারা ৮ নং ওয়ার্ডস্থ সুমন সিকদার (সুমন স্বর্নকার)-এর ১তলা পাকা ভবনের একটি রুম গত ০১.৮.২০২১ তাং: ভাড়া নেয়।