শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ফুল মিয়া: লাশ পেতে বাবা মায়ের আহাজারি

প্রতিবেদকের নাম / ৪১০
নিউজ আপঃ রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৫ অপরাহ্ন

মাধবপুর প্রতিনিধি:হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বহরা গ্রামের ফুল মিয়া ১৫ জুলাই ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন । তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে থামছে না ফুল মিয়ার বাবা মায়ের আহাজারি।

এদিকে নিহত ফুল মিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানেন না কিভাবে লাশ দেশে আনতে হবে। এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার বাবা। কিন্তু ছেলের লাশ দেশে আনা কোনো ব্যবস্থা করতে পারছেন না তারা। শেষ বারের মত ফুল মিয়ার নিথর দেহ দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন তার বাবা মা।

ফুল মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফুল মিয়ার বাবা শিশু মিয়া একজন দিন মজুর। অভাব অনটনের সংসার তাদের। অভাবের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ধার দেনা করে ছেলেকে ২০১১ সালে ওমান পাঠান তার বাবা। ছেলের পাঠানো টাকায় তাদের সংসার থেকে অভাব প্রায় দূর হতে চলছিল। মোটামুটি ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু গত ১৫ জুলাই ওমানের সড়ক দুর্ঘটনায় ফুল মিয়া মারা যাওয়ার সাথে সাথে তার পরিবারের নেমে আসে দুঃখের ছায়া। বর্তমানে ফুল মিয়ার লাশ ওমানের হাসপাতালের হিম ঘরে রাখা হয়েছে বলে তার পরিবার থেকে জানানো হয় ।

নিহত ফুল মিয়ার বাবা শিশু মিয়া জানান, অনেক কষ্ট করে প্রিয় আদরের সন্তানকে ওমানে পাঠিয়ে ছিলাম। আমার ছেলে এভাবে বিদেশে মারা যাবে জানলে তাকে বিদেশে পাঠাতাম না । আমরা এখন শুধু আমার ছেলের লাশ চাই। আমি জানি না কিভাবে ওমান থেকে লাশ আনতে হয়। এই সামর্থ্য আমার নাই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমার ছেলের লাশটা যেন তারা দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন।

এ ব্যাপারে বহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান জানান, ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ফুল মিয়ার লাশ তাড়াতাড়ি ফেরত পেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওমান দূতাবাসে আবেদন করব। তাছাড়া আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সহযোগিতা কামনা করেছি। আশা করি তাদের সহযোগিতায় ফুল মিয়ার লাশ তার মা বাবা তাড়াতাড়ি ফিরে পাবে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share