রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়ক যেন হয়েছে মরণ ফাঁদ প্রতিনিয়তই ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা । রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে অনেকগুলো নির্মাণাধীন ছোট-বড় ব্রিজ রয়েছে। খুঁড়ে রাখা হয়েছে কালভার্টের আশপাশ। নেই কোনো বিপদ সংকেত চিহ্ন। যে কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে।যার কারণে ঘটছে ভয়াবহ সড়কদূর্ঘটনা। নিহতরা হলেন- রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (৩৭), পিতা মৃত শেখ আব্দুল খালেক এবং মুক্তার হোসেন (৪০), পিতা মৃত আবুল হোসেন। দুজনের বাড়িই কুষ্টিয়া পৌর শহরে।
পাংশা হাইওয়ে থানার এএসআই তরিকুল ইসলামের এই দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেন। মুঠোফোনে তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পাংশা হাইওয়ে থানার এএসআই তরিকুল ইসলামের এই দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেন। মুঠোফোনে তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।
এ সময় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কলেজ মোড় নামক স্থানে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল নিয়ে ছিটকে পড়ে যায়। সে সময় পেছন থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাকের নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।পরে তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হলে তারা আসলে ভোর ৪টার দিকে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এমন অনেকগুলো নির্মাণাধীন ছোট-বড় ব্রিজ রয়েছে। নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা যত্রতত্র ফেলে রেখেছে নির্মাণাধীন সামগ্রী। খুঁড়ে রাখা হয়েছে কালভার্টের আশপাশ। নেই কোনো বিপদ চিহ্ন। যে কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ওইসব স্থানে দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। এটা দ্রুত সংস্কার না করলে প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। দীর্ঘ হতে থাকবে মৃত্যুর মিছিল।