রাজবাড়ী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী বর্ষা মৌসুম শুরুর থেকেই আগ্রাসী ভুমিকায় রয়েছে। একের পর এক শহর রক্ষা বাঁধ সহ লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ভাঙন রোধে ব্যবহিত জিও টিউব ব্যাগ ও ঘর বাড়ি।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে অবস্থিত লঞ্চঘাট এলাকায় এ বছর দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙন,এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লঞ্চঘাট। কর্তৃপক্ষ ওই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়েছে লঞ্চঘাটের একটি পল্টুন।
বুধবার (১৮ আগষ্ট) ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকায় আবারও ভাঙনের তাণ্ডব চালিয়েছে উত্তাল পদ্মা নদী। ভোর থেকে ভাঙনে লঞ্চঘাট এলাকার প্রায় ৩০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীতীর এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে শুরু হয়েছে বেশ কিছু বাড়িঘর। হুমকির মধ্যে রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চঘাটটি।
স্থানীয়রা জানান, মাঝরাত থেকে পদ্মা নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বেশ কিছুদিন পূর্বে জিও টিউব দিয়ে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন রক্ষায় সেগুলো কাজে আসেনি। লঞ্চঘাট এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে ধসে গেছে।
বেশ কিছু বাড়িঘর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যেকোন সময় লঞ্চঘাট বন্ধ করে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত (বিআইডব্লিউটিএর) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লঞ্চঘাটটি মূলত হুমকির মধ্যে রয়েছে। যেকোন সময় লঞ্চঘাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান লঞ্চঘাট এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলো।
আসলে লঞ্চঘাট স্থাপন করারমতো কোন জায়গা না থাকার কারণে ঝুঁকির মধ্যে লঞ্চঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকার বেশ কিছু অংশ জিও টিউব ব্যাগসহ পানির নিচে ধসে গেছে। এটি আমার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, ভাঙনের ঘটনা শুনে সেখানে যাচ্ছি। পরিস্থিতি দেখে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
এই বিভাগের আরও খবর....