কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এ বছর বর্ষা মৌসুমে ৬টি ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে এসেছে। সাগরে জেলেদের ফেলা জালে ডলফিন আটকা পড়লেই সেগুলো মেরে সাগরে ফেলে দিচ্ছে জেলেরা। এছাড়া সাগরে ফেলা জেলেদের হাজারী বড়শিতে আটকেও মারা যাচ্ছে ডলফিন। তাই সাগরে নির্বিচারে ডলফিন হত্যা বন্ধে এখনই আইন প্রনয়ন ও জেলেদের সচেতন করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘ডলফিন রক্ষা কমিটির’ টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে যখন জীব বৈচিত্র রক্ষায় সরকারি-বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ঠিক তখনই কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মারা যাচ্ছে ডলফিন। গত দুই দিনে তিনটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে এসেছে। মৃত ডলফিনগুলো সাগরে ফেলা জালে আটকা পড়ায় সেগুলো মারা গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সমুদ্রগামী জেলেদের মধ্যে অসচেতনতার অভাবে এভাবে নির্বিচারে ডলফিন মারা যাচ্ছে। প্রতি বছর এভাবে অন্তত: ১০ থেকে ১২টি ডলফিন শুধু সৈকতেই ভেসে আসছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে সমুদ্রের এই বন্ধু প্রানীটিকে রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। প্লাস্টিক পলিথিন ও ছেড়া জাল মুক্ত করতে হবে সাগর ও নদী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইকোফিস-২ প্রকল্পের পটুয়াখালী জেলার সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি, ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য কে এম বাচ্চু, আবুল হোসেন রাজু ও আসাদুজ্জামান মিরাজ প্রমূখ।