পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইউনিয়ন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসা: তানিয়া আক্তার মুক্তা’র বিভিন্ন দুর্নীতি ও জালিয়াতির তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো: আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত ৩১.১০.৭৮০০.০০৯.০১.০২৬.১৯ স্মারকের চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে উপজেলার তুলাতলি গ্রামের জনৈক মো: ইউনুস খেপুপাড়া ভ‚মি অফিসের ইউনিয়ন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসা: তানিয়া আক্তার মুক্তা’র বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক’র কাছে জাল খতিয়ান খুলে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত অভিযোগের অনুলিপি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, চেয়ারম্যান, দুদক প্রধান কার্যালয়, ঢাকা ও বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল বরাবর প্রেরন করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সোনাতলা মৌজার ১নং সরকারী খাস খতিয়ানের জমি নিয়ে ইউনিয়ন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জাল জালিয়াতি ভাবে ৫৯১/১ নং ভুয়া খতিয়ান সৃষ্টি করেন। অত:পর রেজিষ্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত করে ১৬৪৪৩০ নম্বর খাজনা দাখিলা প্রদান করেন। এতে ঢাকার কোম্পানীর কাছে একটি চক্র সরকারী জমি ১ কোটি টাকায় বিক্রী করে আত্মসাত করে।
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’ইউনিয়ন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসা: তানিয়া আক্তার মুক্তা’র দুর্নীতির বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, ’ইউনিয়ন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসা: তানিয়া আক্তার মুক্তা’র দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হতে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
প্রসংগত, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসা: তানিয়া আক্তার মুক্তা, ০৮-০৫-১৯ তারিখ সোনাতলা মৌজার এসএ ২ নং সিটভ‚ক্ত ১১৮৬, ১১৮৭ নদী’র দাগের ২.৮৭৫০ একর জমির, ১৩৭৯ থেকে ১৪২৫ পর্যন্ত, ৪৬ বছরের ভ‚মি উন্নয়ন কর রসিদ প্রদান করেন আম্বিয়া খাতুন’র নামে। অফিসে সংরক্ষিত উক্ত রসিদ’র কার্বন কপিতে সেটেলমেন্ট খতিয়ান’র পরিবর্তে রেকর্ডীয় খতিয়ান ৯১ লেখা রয়েছে। জমির পরিমানও পাল্টে ১.৮৭৫০ এবং কর আদায়ের সাল ১৩৭৯-৯৭ লেখা রয়েছে। অথচ সোনাতলা মৌজার রেকর্ডীয় ৯১ খতিয়ান এর মালিক আছিয়া খাতুন।