রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘায় নবাগত ইউএনও’র সাথে প্রধান শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,থানায় মামলা ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী কাউন্সিলর সাহেব আলীর শাস্তি চায় এলাকাবাসি মানবিক বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

কলাপাড়ায় পল্লী বিদুত’র নতুন লাইন দেয়ার নামে চাঁদাবাজি, গ্রামভিত্তিক গড়ে উঠেছে দালাল টিম।।

প্রতিবেদকের নাম / ২১৬
নিউজ আপঃ বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:৩২ অপরাহ্ন

ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের তোফাজ্জেল হাওলাদার। কৃষক পেশার এ মানুষটি বিদ্যুতের খাম্বা আসার সময় দুই হাজার টাকা, খাম্বা বসানোর সময় এক হাজার এবং তার টানার জন্য আরও এক হাজার টাকা দিয়েছেন। একই এলাকার মো. আবুল কালাম মৃধা তার কাছ থেকে এ টাকা নিয়েছেন।

সবশেষ মূল বিদ্যুত লাইনের তার তোফাজ্জেল হাওলাদারের ঘরের ওপর দিয়ে নেয়া হয়েছে। এনিয়ে বাধা দেয়ায় মারধর করা হয়েছে। এখন তোফাজ্জেল আতঙ্কে রাত কাটায়। একটি মামলা করেছেন। পাল্টা মামলার আসামিও হয়েছেন। এ তো গেল একজন তোফাজ্জেল হাওলাদারের অবস্থা। বালিয়াতলীর আমতলী পাড়ার মাহতাবউদ্দিন মাতুব্বর তো জীবন শঙ্কার ভয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। একটি মামলাও করেছেন প্রতিকারের আশায়। তার ফলন্ত ১২টি তাল গাছ ঘিঁষে বিদুতের মূল লাইন টানা হয়েছে। এখন তারের সমস্যার অজুহাতে গাছগুলোর ডাল-পাতা আগা পর্যন্ত মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাল গাছগুলো বেচে থাকবে কি না তা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। লাইনের তার একটু সরানোর জন্য অনেক আকুতি জানিয়েছেন, কেউ শোনেনি। মাহতাব উদ্দিন বলেন,‘ মাননীয় প্রধানমমন্ত্রী বজ্রপাত প্রতিরোধে তাল গাছ লাগানোর জন্য সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তার তালগাছগুলো মেরে ফেলা হচ্ছে।’

এনিয়ে একই এলাকার আব্দুল হাই মাদবরের নেতৃত্বে মাহতাব উদ্দিনের ওপর ১৮ সেপ্টেম্বর হামলা চালানো হয়। তালগাছের ডাল-পালা মুড়িয়ে কাটতে বাধা দিলে এ মানুষটিকে মারধর করা হয়েছে। কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির জোনাল অফিসেও বিদ্যুত লাইন গাছ থেকে একটু দুরে রাখার আবেদন করেছেন। কিন্তু কিছুই করা হয়নি। প্রতিকারে একটি মামলা করেছেন মাহতাব উদ্দিন। এ মানুষটি জানান, ওই তাল গাছের রস দিয়ে গুড় তৈরি করে তিনি বিক্রি করেন। দিচ্ছেন সংসারের যোগান। কিন্তু এখন ওই উপার্জন বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এভাবে কলাপাড়ার গ্রামীণ জনপদে পল্লী বিদ্যুত সমিতির নতুন বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার শুরু থেকে সংযোগ চালু পর্যন্ত একটি দালাল চক্রের চাঁদাবাজি চলে আসছে। গড়ে উঠেছে বড় ধরনের সিন্ডিকেট। এমন কোন গ্রাম কিংবা মহল্লা নেই যেখানে চাঁদাবাজি না ঘটেছে। ধুলাসারের একটি চক্রের চাঁদাবাজি তো চরমে পৌছে। লালুয়ার চান্দুপাড়ায় এক মেম্বারসহ একটি চক্র নতুন সংযোগ দেয়ার কথা বলে করছে চাঁদাবাজি। খাম্বা টানা থেকে শুরু করে খাম্বা পোতা, লাইন টানা, তার দিয়ে ঘরের ওয়ারিং থেকে শুরু করে নতুন সংযোগ পর্যন্ত দিতে গ্রামভিত্তিক নির্দিষ্ট দালাল টিম গড়ে উঠেছে। এদের কারণে সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফলের বদলে নিতে হচ্ছে দুর্নাম।

এসব প্রতিরোধে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত সমিতি উদাসীন। এসবের সঙ্গে সরকারি দলের এক শ্রেণির গ্রাম্য রাজনৈতিক ক্যাডার থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা জড়িয়ে এসব অপকর্ম করছে। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বহু গ্রামে ডিজাইন মাফিক মূল লাইন টানা হয়নি। নির্দিষ্ট দূরত্ব না মেনে বিদ্যুতের খাম্বা পোতার অভিযোগ রয়েছে। চাকামইয়ার চুঙ্গাপাশায় সম্প্রতি লোকজন দেয়া টাকা ফেরত পেতে বিদ্যুতের পোল বসানোর ঠিকাদারের শ্রমিকদের আটকে রাখার ঘটনা ঘটে। এক কথায় চরম স্বেচ্ছাচারিতা চলছে নতুন বিদ্যুত সংযোগ টানার ক্ষেত্রে। এসব ব্যাপারে কিংবা টাকা তোলার ঘটনায় অভিযুক্ত একজন কালাম মৃধাকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের ঠিকাদারের লোকজন আসলে তাদের খাওন-খরচ বাবাদ কিছু টাকা সবাই মিলে খরচ করেছি। যা সবাই বিয়ার (বহন) করেছে। তবে ৩৫ শ’ টাকা নেওয়ার কথা ঠিক নয়।’ কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম জানান, কাউকে কোন ধরনের টাকা-পয়সা না দেয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share