প্রতিবছরের মতো এবারও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ছনধরা হাট-বাজরের ইজারা দেওয়া হয় । ১৩ লাখ টাকায় সেই ইজারা পায় স্থানীয় সহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী । নিয়ম অনুযায়ী স্টাম্পের মাধ্যমে এই বছরে পহেলা বৈশাখে ইজারার চুক্তিপত্রও করে দেয় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার । তবে ইজারা দেওয়ার প্রায় ছয় মাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত হাট বুঝিয়ে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন । তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাটের ইজারা পেয়েছেন । তবে প্রায় ছয় মাস হয়ে গেলেও তাকে পুরোপুরি হাট বুঝিয়ে দেওয়া হয় নি । ছনধরা হাটের মুল অংশই হচ্ছে গরু-ছাগলের হাট । গত পাঁচ মাসে একদিনও তিনি এই হাট বসাতে পারেনি । এদিকে হাট বুজিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহ কর্মকর্তা ও ডিসি অফিসে লিখিতভাবে জানিয়েছেন । স্থানীয় কিছু অসাধু লোক হাটের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে । যার কারনে সেখানে হাটবারে গরু-ছাগলের হাট বসানোর কোন সুযোগ নেই ।
এই অভিযোগে তিনি ডিসি অফিসে লিখিতভাবে জানান । এর পর পরই ডিসি অফিস থেক সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহন করতে দেখা যায়নি । উল্টো হাট নিয় বেশি কথা বললে ব্যবসায়ীকে ঝামেলায় ফেলানো হবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি । এতে করে গত ছয় মাস যাবৎ কোন টোল আদায় করতে পারেনি তিনি । ফলে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন । এ ব্যাপারে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে হাট বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেন ।
তবে এতো দিন টোল আদায় না করতে পারায় ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার কারনে এমনিতেই হাট-বাজার বন্ধ ছিল । তবে সরকারীভাবে যদি কোন সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ওই ব্যবসায়ীও পাবেন ।