বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

বাঘায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

হাবিল উদ্দিন,বাঘা,রাজশাহী / ২৭৬
নিউজ আপঃ রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীর বাঘা থানায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা হয়েছে ২ জন সাংবাদিকের নামে। গত ৩০ ডিসেম্বর উপজেলার চণ্ডিপুর খাঁপাড়া গ্রামে অসামাজিক কার্যকলাপে সময় এলাকা বাসীর হাতে আটক হয় আতিয়ার রহমান মুকুল নামের এক যুবক ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে।
ঘটনার স্থল হতে মুঠোফোনে খবর পাবার পর সংবাদের সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে  উপস্থিত হয় বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (মানবজমিন পত্রিকার বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি) সাংবাদিক  মফিজুল ইসলাম দিলদার ও  সাংবাদিক হাবিল উদ্দিনসহ আরও ২জন সাংবাদিক। তথ্য সংগ্রহ ও ছবি উঠাতে চাইলে  বাধা প্রদান করেন আতিয়ার রহমান মুকুল। অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা আতিয়ার রহমান মুকুল রাজশাহী রয়েল প্যারা মেডিক্যালের প্রভাষক পরিচয় দিয়ে উপস্থিত স্থানীয় নেতা ফজলুর রহমান ফজল ও সাংবাদিকসহ গ্রামবাসীদের বলেন,তার এক বন্ধু পুলিশের এএসপি এবং  প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ভালো সখ্যতা আছে। এখনই ছেড়ে না দিলে বিভিন্ন প্রকার মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে আতিয়ার রহমান মুকুল।
পরে এলাকা বাসী মুকুলকে পুলিশে সোপর্দ করলে বাঘা থানা পুলিশ তাকে সহ কলেজ পড়ুয়া মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসে। বাঘা থানা পুলিশ আটক মুকুলের বন্ধু এএসপির কথা মত ছাড়ে দিতে ও ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে না পারায় পরের দিন ৩১ডিসেম্বর জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আতিয়ার রহমান মুকুল কে জেলহাজতে প্রেরন করায় ৩১ ডিসেম্বর মুকুল এর বোনের ছেলে আলমগীর হোসেন পিতাঃ আব্দুল আজিজ, গ্রামঃকাঠালবাড়িয়া, থানা নাটোর সদর বাদী হয়ে সাংবাদিক দের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আসামি সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম দিলদার বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সংবাদের তথ্যের জন্য ঘটনাস্থলে  গিয়েছিলাম। যাওয়ার পরে এলাকাবাসীর খাঁপাড়ার একটি বাড়ীতে মুকুল ও মেয়েটিকে বাড়ীটির ঘরের মধ্যে আটক অবস্থায় দেখতে পাই। সাংবাদিক দেখে  সকলেই বিয়ে দিতে অথবা পুলিশে দিতে বলে ধর্ষণের দায়ে।কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি সাংবাদিকদের বলেন,স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যা হয় তা সবই করেছে মুকুল। আমাকে বিয়ে করতে হবে তাছাড়া আমি মুখ দেখাতে পারব না।৷ একই মামলার আসামি সাংবাদিক হাবিল উদ্দিন বলেন, মামলার বাদী আলমগীর কে চিনিনা। টাকা চাওয়া বা নেওয়া তো দুরের কথা তার সাথে কোন কথাও হয় নি। বাদী আলমগীর এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সঠিক উত্তর দিতেপারেননি। তিনি আসামি দের নাম, সময়, কত টাকার নোট, টাকা কার হাতে দিয়েছে,সাক্ষী কে কে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এতো কিছু জানিনা, বাঘা প্রেস ক্লাবের মোটা করে এক সাংবাদিক আমাকে বলে আাসামীদ্বয় সাংবাদিক নয় এছাড়াও ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে এ মামলায় তারা হাজত খাটে। তিনি আরও বলেন, এতো কিছু বলতে পারবোনা ওসির পরামর্শে মামলা করেছি সব লেখা আছে থানায় গিয়ে দেখেন।
বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিলের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেছিল বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম দিলদার। সেই থেকে নুরুজ্জামান বিভিন্ন ভাবে দিলদার সহ বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। নুরুজ্জামানের এ সত্রুতার জের ধরে কিছু দিন আগেও বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের ৩ জন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা হয়। এই মামলাটি নুরুজ্জামানের ষড়যন্ত্রে হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share