‘সংবাদ’ এর পাবনাস্থ স্টাফ রিপোর্টার পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপনের প্রাণ নাশের চেষ্টায় হামলা হয় গত রাতে। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান।
বুধবার রাত ৮ টা ৫ মিনিটে হাবিবুর রহমান স্বপন মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তার মোটর সাইকেলের গতি রোধ না উদ্দেশ্যে পথ রোধ করার চেষ্টা করে।
ঘটনাটি ঘটে সাঁথিয়া পাইলট হাই স্কুলের নিকটবর্তী সড়কের উপর। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই তিনি গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের একজন মোটর সাইকেলে লাথি দেয়। লাথিটি লাগে মোটর সাইকেলের অপর যাত্রি অ্যাডভোকেট শাহাদত হোসেন বকুলের পায়ে।
হামলাকারীরা কমপক্ষে ৯ থেকে ১০ জন ছিল। হাবিবুর রহমান স্বপন যাদের চিনতে পেরেছেন। তাদের নামে সাঁথিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। চিহ্নিত চাঁদাবাজ দাঙ্গাবাজ এবং যখন যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তখন তারা সেই দলে ভিড়ে যায় এবং নানা অপকর্মের সঙ্গে থাকে।
এরা হলো : হাসিবুল খান ওরফে সানা (চাাঁদা বাজির দায়ে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত উপজেলা সভাপতি), পিতা- জামাল উদ্দিন, গ্রাম কোনাবাড়িয়া, সাঁথিয়া; রাজাকার জামাল সরদারের ছেলে রুবেল সরদার গ্রাম চক নন্দনপুর, সাঁথিয়া; জাতীয় পার্টির উপজেলা সেক্রেটারি প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে এক সময়ের ছাত্রদল নেতা জাহিদুল আলম নয়ন গ্রাম-দৌলতপুর, সাঁথিয়া; সাঁথিয়া পৌর সভার পিয়ন ইসলামের ছেলে মিনারুল ইসলাম বিশু তার বাড়ি পৌর এলাকার সাঁথিয়া ফকিরপাড়া; বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় অস্ত্রধারী (গ্রেফতার হয়েছিল) শিবির ক্যাডার কোনাবাড়িয়া গ্রামের সবুর শেখ এর ছেলে শেখ মেহেদী হাসান।
সাঁথিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা প্রকার অসামাজিক কাজ কর্মের সঙ্গে এরা জড়িত। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান স্বপন একাধিক খবর প্রকাশ করায় তারা তাকে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে হামলা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাংবাদিক স্বপনের উপর হামলার তীব্র নিন্দা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপিতি ও সম্পাদক এ বিএম ফজলুর রহমান ও সৈকত আফরোজ, সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক মাণিক মিয়া রানা ও আব্দুল হাই।