ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত একটি বাণিজ্য বিনিয়োগ চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।কয়েকদিনের মধ্যেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিতও দিয়েছে তারা।
এই চুক্তি কার্যকর হলে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো চীনের বাজারে অধিকতর প্রবেশাধিকার এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আগের তুলনায় বেশি সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইইউ-চীন বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে আলোচনা শুরু হলেও বেশকিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্যে তা কয়েকবছর থমকে ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উত্তেজনার কারণেই সম্ভবত বেইজিং ইইউর সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে তার অবস্থান বদলেছে। যে কারণে আলোচনায়ও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইইউ’র ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণার রেশ কাটতে না কাটতেই চীনের সঙ্গে ইউরোপের ২৭ দেশের জোটের এ ‘বড় চুক্তি’ হতে যাচ্ছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, চুক্তি হলে ইইউ’র বিভিন্ন কোম্পানির জন্য চীনের উৎপাদন, নির্মাণ, বিজ্ঞাপন, বিমান চলাচল ও টেলিকম খাতের দরজা খুলে যাবে। এর বদলে ইউরোপের নবায়নযোগ্য জ্বালানির একাংশে প্রবেশাধিকার মিলবে বেইজিংয়ের।
চীনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সাধারণত চীনেরই কোনো কোম্পানির সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে যেতে হয়; কিছু কিছু শিল্পে বিদেশি মালিকানার পরিমাণ সর্বোচ্চ কত হতে পারবে তাও সুনির্দিষ্ট ছিল।
সম্ভাব্য নতুন এ চুক্তিতে ইইউ কোম্পানিগুলোর জন্য এ ধরনের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
চুক্তি স্বাক্ষর হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তা কার্যকর হবে না, এটি আগে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে। পার্লামেন্টের ওই অনুমোদন প্রক্রিয়া ২০২১ সালের দ্বিতীয় ভাগের আগে শুরু হবে না বলেই ধারণা পর্যবেক্ষকদের।