রাজশাহীতে ভুয়া দলিল ব্যবহার করে রাস্তাদখলকে কেন্দ্র করে আইনজীবী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা
বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভুক্তোভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ভুক্তোভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ্যাডভোকেট সুমা খাতুন বলেন, গত বছরের জানুয়ারি মাসে রাসিকে ১৯ নং ওর্য়াডের অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু হয়। এমতাবস্থায় আমার প্রতিবেশীর সাথে রাস্তার সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে একাধিকবার কথাকাটাকাটি হয়।
দীর্ঘ এক বছরধরে আমার এবং আমার পরিবারের সাথে অভিযুক্ত রোকনুজামান এবং তার সহযোগীদের মধ্যে দন্দ চলতে থাকে। তবে সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল রাসিকের মানবিক কর্মকান্ডের অংশহিসেবে এক মাস আগে থানার মিমাংসার ফলাফলের সূত্র ধরে শুরু করা প্রাচীর নির্মানের কাজটি বন্ধ
করে প্রাচীরটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা কাজটিতে বাধা প্রদান করি নাই তবে অভিযুক্ত রকনুজ্জামান ও তার সহযাগী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী সহ বেশ কয়েকজন আমার প্রাচীর ভাঙ্গার ভিডিও চিত্র ধারন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ছড়িয়ে দেয় যা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য মানহানিকর। এসব মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া ভিডিও গুলোর ফলে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার সমাজে হেই প্রতিপন্ন হচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমি দ্রুত আদালতের শরনাপন্ন হবো। সর্বশেষ এ্যাডভকেট সুমা খাতুন রাসিক মেয়র এ এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, এ্যাডভকেট সুমা খাতুন এর পক্ষে এবং অভিযুক্ত প্রতিবেশী জামায় আলী মীরের পক্ষ থেকে যথাক্রমে সার্ভেয়ার আমানুল আলম বাবু এবং কবির হোসেন জামির ১০৮৮ এবং ১০৮৯ দাগের মাটি পরিমাপ করে। ফলাফল সরূপ জমিটির ১০৮৮ দাগের কিছু অংশ ১০৮৯ দাগের মধ্যে রয়েছে। যা রেল কর্মচারী মুরাদ সহ একাধিক প্রতিবেশি গৃহনির্মান করে বসবাস করছে।
অপরদিকে দেখা যায়, জে.এল ১৩৩নং নক্সায় এ্যাডভকেট সুমা খাতুনের জমির চৌহদ্দীতে কোন রাস্তার উল্লেখ্য নেই। এরপরও নানা তালবাহানায় অভিযুক্তরা জমির এই সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলতে থাকে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ১৯নং ওর্য়াড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম সুমনের নিকট ভুক্তোভোগী দারস্থ হলেও বিষয়টি নিয়ে ওর্য়াড কাউন্সিলরের শক্ত পদক্ষেপ এর অভাবে সমস্যাটির সমাধান সম্ভব হয়নি।
এই বিভাগের আরও খবর....