রাজবাড়ী জেলার প্রতিটি পাকা সড়ক গুলো দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টির পর আধাঘন্টার বৃষ্টিতে মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ইট ভাটার ব্যবহারের জন্য ডাম্পার, মিনিট্রাক দ্বারা সরবরাহ করা মাটি রাস্তায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে সড়ক আর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জনগণ।
আজ রবিবার দুপুর ১২ টার কিছু আগে রাজবাড়ীতে প্রায় ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে।এর পর থেকে অসংখ্য মোটরসাইকেল চালক দুর্ঘটনার স্বীকার হয়।
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশা থেকে গোয়ালন্দ ঘাট অব্দি রাস্তার বেশিরভাগ স্থানে মাটি পড়ে থাকায় কাদায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও রাজবাড়ী মুরগির ফার্ম থেকে বালিয়াকান্দি-জামালপুর, বালিয়াকান্দি-নারুয়া-পাংশা সড়কে ইটের ভাটার মাটি পরে থাকায় বৃষ্টির পর দুর্ঘটনায় পড়ছে মোটরসাইকেল চালকের। এছাড়াও প্রাইভেট কার গুলোর ব্রেকে কাজ না করায় চালাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে চালকদের।
রাজবাড়ী জেলার ৯৯ টি ইট ভাটা থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। অবৈধ এসব ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, আর ৩ ফসলির জমির মাটে কেটে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে এনে তৈরি করা হচ্ছে ইট। তবে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় অসাধু এসব ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রমনির্বিগ্নে চালিয়ে যাচ্ছে।
মোটরসাইকেল চালক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি বালিয়াকান্দি বাজার থেকে বৃষ্টির পর গুরুত্বপূর্ণ কাজে সোনাপুর বাজারে যাচ্ছিলাম। বালিয়াকান্দি বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে নতুন করে গড়ে ওটা জাকিয়া ব্রিকস এর সামনে সড়কে পরে থাকা মাটি বৃষ্টির পর কাদায় পরিনত হয়।এতে আমি দুর্ঘটনার কবলে পড়ি। আমার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল পড়ে যায়। একটি মাইক্রো রাস্তার নিচে নেমে যাওয়ার উপক্রম হয়।এই ইট ভাটা ছিলো না এবছর নতুন করে গড়ে উঠেছে।
পাংশা কলেজ মোড় এলাকায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে আলামিন নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এভাবে মাটি ফেলে চলাচলের অনপযোগী করে রেখেছে প্রশাসন কি দেখে না। যে অবস্থা হয়ে আছে তাতে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, বিগত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাটি বা বালি বহনে ব্যবহৃত ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনে মাটি বা বালি ট্রিপল দিয়ে সুন্দরভাবে ঢেকে বহন করার জন্য মাটি ব্যবসায়ী ও ট্রাক মালিক সমিতিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।