জামালপুরের বকশীগঞ্জে জোরপূবর্ক জমি দখলের চেষ্টা ও দুই নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন আসামিরা। মামলা তুলে না নিলে জীবন নাশের হুমকি প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে।
মামলা সূত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের পূর্ব কলকিহারা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে দুুলা মিয়া তার মা, ভাই বোন নিয়ে অভাবের সংসারে অতিকষ্টে দিনানিপাত করছেন। দুলা মিয়ার পিতা নুর মোহাম্মদ স্থানীয় ছামছুল হক নামে এক ব্যক্তির নিকট ১৯৭৬ সালে সাবকবলা দলিলমূলে ৬৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
১৯৮০ সালে একই গ্রামের বক্তার আলীর নামে ভুলবশত সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়। সাড়ে ১৬ শতাংশ ওই জমি নিয়ে বক্তার আলীর ছেলে জুব্বার আলী,আমির হোসেন, হোসেন আলী ও আব্দুল্লাহ গংয়ের সঙ্গে দুলা মিয়া ও তার ভাই ইসমাইলের বিরোধ করে আসছে।
এরই জের ধরে গত ২ মে সকাল ১০ টার দিকে জুব্বার আলী, হোসেন আলী,আমীর আলী, আবদুল্লা, জসিম উদ্দিন তাদের দলবল ও লাঠি সোঠা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমি দখল করতে যায়।
এসময় দুলা মিয়ার স্ত্রী শরিফুল বেগম ও ইসমাইলের স্ত্রী আলিয়া বেগম তাঁদের বাঁধা দিলে শরিফুল বেগম ও আলিয়া বেগমকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করেন জুব্বার আলী ও হোসেন আলীর লোকজন। মারপিটের এক পর্যায়ে আলিয়া বেগমের দুটি ভেঙে দেয় তাঁরা।
জোরপূবর্ক জমি দখলের চেষ্টা ও গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দুলা মিয়া গত ৬ মে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বকশীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করে ফিরে আসার পর থেকে মামলার বাদী দুলা মিয়াকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন প্রধান আসামি হোসেন আলী ও তার লোকজন। হোসেন আলী হুমকি দেন যে হয় মামলা তুলবি না হয় জীবন হারাবী। এতে করে ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছেন অসহায় দুলা মিয়ার পরিবার। বর্তমানে তাঁরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম জানান, হুমকি প্রদানের বিষয়টি আমার জানা নেই।