প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা বাতিল করে নিঃশর্ত মুক্তি ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবিতে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার(৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় প্রথম আলো রাজবাড়ী বন্ধু সভার উদ্যোগে
রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপি এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রথম আলো’র রাজবাড়ী প্রতিনিধি এজাজ আহম্মেদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির সহসভাপতি আবদুস সামাদ মিয়া, প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা চৌধুরী ইমরুল আহমেদ, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল কুদ্দুস বাবু, রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সহসভাপতি সনজিৎ দাস, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র শীল চন্দন, দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী পত্রিকার সম্পাদক ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন, রাজবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটের সহসভাপতি ও ডিবিসি নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি দেবাশিষ বিশ্বাস, রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন বিশ্বাস, কালুখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কাওসার আহমেদ রিপন, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম।
এছাড়াও কর্মসূচিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদিক ও বন্ধুসভার বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ‘সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা, সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা বাতিল কর নিঃশর্ত মুক্তি দাও, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল কর’ প্ল্যাকার্ড প্রদর্শণ করা হয়।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম আলো প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একটি পত্রিকা। এটি সবচেয়ে পাঠক প্রিয় পত্রিকা। সাংবাদিকতার নিয়ম মেনেই সবসময় খবর পরিবেশন করে। কিন্তু একটি খবর কেন্দ্র করে পত্রিকার সাংবাদিককে রাতের আধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটা মূলত ভয় দেখানোর জন্য ও সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করার জন্য করা হয়েছে। এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে লেখার সুযোগ করে দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বাজারে প্রতিটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের মধ্যে হাহাকার তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মনের কথা লেখায় প্রথম আলোর ওই কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এখানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা হয়নি। সুনির্দিষ্ট ভাবে এক দিনমুজুরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। কথায় কথায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করার প্রবণতা বাদ দিতে হবে। এই আইন বাতিল করতে হবে। সাংবাদিকের মুক্তি দিতে হবে।